ঢাকা, রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আদালত প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২২
আদালত প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা

ঢাকা: ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজিএম) আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের ওপর হামলা করে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সেখানে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।

সোমবার (২১ নভেম্বর) সরেজমিনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর জনসন রোড চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএমে) কোর্ট ও মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে এমন চিত্র দেখা যায়।

অন্যান্য দিনের তুলনায় সোমবার কোর্ট এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কোট প্রাঙ্গণে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ। এছাড়াও আনসার, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের সাদা পোশাকে আদালত প্রাঙ্গণে নজরদারি করতে দেখা গেছে। প্রতিটি আদালতের প্রবেশমুখে সাধারণ মানুষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করছেন পুলিশ সদস্যরা। ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল আদালত প্রাঙ্গণে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

সিএমএম কোর্ট এলাকায় দায়িত্বরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগ গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকেই কোর্ট এলাকায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা। মোটরসাইকেল ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কাউকে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।  

এর আগে রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার সিজেএম আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এসময় আসামি আরাফাত ও সবুরকেও ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল জঙ্গিরা। পরে ঘটনাস্থল থেকে আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞানামা আসামি করা হয় আরও ৭-৮ জনকে।

কোতোয়ালি থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

>>> আরও পড়ুন: জঙ্গি ছিনতাই: দায়িত্বে অবহেলার দায়ে ৫ পুলিশ বরখাস্ত

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২২
এমএমআই/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।