ঢাকা, বুধবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ রবিউস সানি ১৪৪৭

মুক্তমত

সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র রুখতে হবে

অদিতি করিম। সৌজন্যে: কালের কণ্ঠ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮:৫২, অক্টোবর ৮, ২০২৫
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র রুখতে হবে অদিতি করিম।

নির্বাচনের সময় যতই এগিয়ে আসছে ততই বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক সশস্ত্র বাহিনীকে টার্গেট করে পরিকল্পিত গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত এবং প্রশ্নবিদ্ধ করার সর্বাত্মক চক্রান্ত লক্ষ করা যাচ্ছে।

সেনাবাহিনী সম্পর্কে নানান বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে জনগণের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পর্ক নষ্টের ঘৃণ্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি অন্তত দুটি এ রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। প্রথমটি ঘটেছে খাগড়াছড়ি ও গুইমারায়। ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয়টি গুজব এবং তথ্যসন্ত্রাস।  সেনাবাহিনী প্রধান যা বলেননি সেটিকে তাঁর বক্তব্য হিসেবে অপপ্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি এবং গুইমারায় কী হয়েছিল : ২০২৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে মোটরসাইকেলচালক মামুনের হত্যাকাণ্ড কেন্দ্র করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) মূল এবং অঙ্গসংগঠনসমূহ দীঘিনালা ও রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ফলে তিনজন নিহতসহ বেশ কিছু এলাকাবাসী আহত হয়। এ ঘটনার বছরপূর্তিতে এ বছর ইউপিডিএফ এবং এর সহযোগী সংগঠনসমূহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে এবং অনুরূপ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানোর চেষ্টা করে।

২৩ সেপ্টেম্বর রাতে খাগড়াছড়ির সিঙ্গিনালায় এক স্কুলছাত্রীর ধর্ষণের অভিযোগ আমলে নিয়ে ইউপিডিএফের (মূল) দাবীকৃত সন্দেহভাজন শয়ন শীলকে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ২৪ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় এবং পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে নেওয়া হয়। ঘটনাটির সত্যতা বিচারে আইনি প্রক্রিয়া বর্তমানে চলমান রয়েছে। শয়ন শীলকে গ্রেপ্তার করা সত্ত্বেও ইউপিডিএফের অঙ্গসংগঠন পিসিপির নেতা উখ্যানু মারমা ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে ২৪ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদী মানববন্ধনের ডাক দেয়। এর ধারাবাহিকতায় ২৫ সেপ্টেম্বর ইউপিডিএফের আহ্বানে খাগড়াছড়িতে আধাবেলা হরতাল পালিত হয়। একই সময় দেশে-বিদেশে অবস্থানরত ব্লগার এবং পার্বত্যাঞ্চলের কিছু দায়িত্বশীল ব্যক্তি কর্তৃক অনলাইনে বাঙালিদের উদ্দেশ করে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া হয়।

২৬ সেপ্টেম্বর ইউপিডিএফ কর্মী উখ্যানু মারমার নেতৃত্বে এবং সমাজমাধ্যমে দেশি ও প্রবাসী ব্লগারসহ পার্বত্য জেলার কিছু দায়িত্বশীল ব্যক্তির উসকানিমূলক প্রচারণার প্রভাবে সমগ্র খাগড়াছড়িতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অবরোধ চলাকালে একপর্যায়ে ইউপিডিএফের প্ররোচনায় উচ্ছৃঙ্খল এলাকাবাসী টহলরত সেনাদলের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে তিন সেনাসদস্য আহত হন। সার্বিক পরিস্থিতি এবং উসকানির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সেনাবাহিনী অত্যন্ত ধৈর্য, সংযম ও মানবিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে এবং বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকে। ২৭ সেপ্টেম্বর ইউপিডিএফ এবং অঙ্গসংগঠনের কর্মীরা আবারও দাঙ্গাহাঙ্গামা সৃষ্টির চেষ্টা চালান এবং বিভিন্ন স্থানে বাঙালিসহ সাধারণ মানুষের ওপর গুলি, ভাঙচুর, অ্যাম্বুলেন্সে আক্রমণ, রাস্তা অবরোধসহ নাশকতা করে সমগ্র খাগড়াছড়ি পৌরসভার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটান। ওই দিন দুপুরনাগাদ সামগ্রিক বিষয়টি পাহাড়ি-বাঙালির সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় রূপ নেয়। অবস্থা বিচারে জেলা প্রশাসন খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় ১৪৪ ধারা জারি করে। এ পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চরম ধৈর্যের সঙ্গে সারা রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফলে একটি অবশ্যম্ভাবী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিহত করা সম্ভবপর হয়। খাগড়াছড়ি পৌর এলাকায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর ইউপিডিএফ ও এর অঙ্গসংগঠন ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে জেলার গুইমারা উপজেলার রামসু বাজার এলাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সাধারণ মানুষকে উসকে দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে গুইমারা-খাগড়াছড়ি রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়। সকাল সাড়ে ১০টায় ইউপিডিএফ কর্মী এবং সন্ত্রাসীরা এলাকার বাঙালি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। এ-পর্যায়ে সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে তারা দেশি অস্ত্রশস্ত্র, ইটপাটকেল, গুলতি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালায়। এতে সেনাবাহিনীর তিনজন অফিসারসহ ১০ সদস্য আহত হন। একই সময় তারা রামগড়ে বিজিবির গাড়ি ভাঙচুর করে এবং বিজিবি সদস্যদের আহত করে। সংঘর্ষ চলাকালে আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে রামসু বাজারের পশ্চিম পাশে উঁচু পাহাড় থেকে ইউপিডিএফ (মূল) সশস্ত্র দলের সদস্যরা চার-পাঁচবার অটোম্যাটিক অস্ত্র দিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত পাহাড়ি-বাঙালি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত সেনাসদস্যদের লক্ষ করে আনুমানিক ১০০-১৫০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। এতে ঘটনাস্থলে সংঘর্ষে লিপ্ত এলাকাবাসীর মধ্যে অনেকে গুলিবিদ্ধ হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর টহলদল দ্রুত সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে। সেনাবাহিনীর তৎপরতায় ওই সশস্ত্র দলটি দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে।

এটি স্পষ্ট যে ইউপিডিএফ এবং তার অঙ্গসংগঠনসমূহ পার্বত্য চট্টগ্রাম অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সুপরিকল্পিতভাবে মহিলা এবং স্কুলগামী কোমলমতি শিশুদের বিভিন্ন পন্থায় তাদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণে বাধ্য করছে। একই সঙ্গে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংঘটনের লক্ষ্যে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন দেশি অস্ত্রসহ পার্বত্যাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে আসার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

১৯ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি এবং গুইমারায় বিভিন্ন ঘটনা পুঁজি করে আইনের আশ্রয় না নিয়ে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড সত্ত্বেও সেনাবাহিনীর দৃঢ়তায় একটি ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়েছে বটে; কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রাম ঘিরে ষড়যন্ত্র চলছে। মিয়ানমারের জাতিগত দাঙ্গা এবং জান্তা সরকারের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গ্রুপগুলোর সংঘাতের ঢেউ বাংলাদেশে আঘাত হানতে শুরু করেছে। প্রায়ই অশান্ত হয়ে উঠছে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত। বাংলাদেশের অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সে কারণেই সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করতে এবং জনগণের মধ্যে তাদের সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টির জন্য খাগড়াছড়ির ঘটনা যে ঘটানো হয়েছে তা এখন পরিষ্কার। নির্বাচনের আগে দেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ষড়যন্ত্রকারীরা এ রকম আরও ষড়যন্ত্র করবে বলেই আমার ধারণা। এজন্য আমাদের সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে।

সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ষড়যন্ত্রটি আরও ঘৃণ্য। এটি সরাসরি সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন মিথ্যাচার। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জুলাই বিপ্লবের আন সাং হিরো। তাঁর বিচক্ষণতায় জুলাই বিপ্লব চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। তাঁর নিরলস প্রচেষ্টায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্র্বর্তী সরকার গঠিত হয়। ৫ আগস্টের পর দেশে ভয়াবহ মবসন্ত্রাস, লুটপাট ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীই একমাত্র ভরসা। এখনো মানুষ যেটুকু শান্তিতে আছে তার পুরো কৃতিত্ব সশস্ত্র বাহিনীর। ৫ আগস্ট সেনাপ্রধান চাইলে ক্ষমতা নিতে পারতেন। কেউ কোনো প্রশ্ন করত না। কিন্তু তিনি একজন পেশাদার সৈনিক। ক্ষমতার লোভ তাঁকে গ্রাস করেনি। দেশের মানুষের শান্তি এবং নিরাপত্তাই ছিল তাঁর কাছে প্রধান। আমরা লক্ষ করেছি, ৫ আগস্টের পর থেকেই কোনো কোনো মহল সেনাপ্রধান সম্পর্কে অসত্য, অসৌজন্যমূলক, আক্রমণাত্মক, উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েই চলেছে। এরা কেবল সেনাপ্রধান ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেই কুৎসিত আক্রমণ করছে না, জুলাই বিপ্লবকেই প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু সেনাপ্রধান এবং সশস্ত্র বাহিনী ধীরস্থিরভাবে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করছেন। গত ১৪ মাসে সবচেয়ে বেশি মিথ্যাচার এবং গুজব-সন্ত্রাস চালানো হয়েছে সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে। শান্ত কিন্তু লক্ষ্যে স্থির এই মানুষটি সবকিছু সহ্য করেছেন দেশের স্বার্থে। সম্প্রতি তাঁকে নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করে একটি গোষ্ঠী। সমাজমাধ্যমে সেনাপ্রধানের একটি বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, যা উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার।

৩০ সেপ্টেম্বর বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান কার্যক্রমে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর কার্যকলাপ আরও উন্নত ও গতিশীল করার উপায় সন্ধানে আয়োজিত একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনা (স্টাডি পিরিয়ড) অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে সেনাসদস্যদের দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী মোতায়েন এবং এর বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ উপস্থাপিত হয়। এ আলোচনায় ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর জন্য প্রযোজ্য বাংলাদেশ দণ্ডবিধির (সিআরপিসি) ১২৭-১৩২ ধারা, বর্তমানে সেনাবাহিনীকে প্রদত্ত ‘ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা’ আরোপের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন দিক আলোকপাত করা হয়। আইনগত, প্রশাসনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে মাঠে নিয়োজিত সেনাদল কর্তৃক প্রযোজ্য আইনের ধারা সঠিকভাবে অনুধাবন করে পেশাদারি ও দক্ষতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব সঠিক-সুচারুরূপে পালনে সক্ষম করাই ছিল এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে মাঠে নিয়োজিত সেনাসদস্যদের সিআরপিসি ১৩২-এ প্রদত্ত দায়মুক্তির বিষয়ে কথা ওঠে। সেনাপ্রধান আলোচনার অংশ হিসেবে সিআরপিসি ১৩২-এ প্রদত্ত দায়মুক্তি এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ (সংশোধিত ২০২৪)-এর সঙ্গে এর সাংঘর্ষিক অবস্থান সম্পর্কে আলোকপাত করেন। সিআরপিসির অধীনে সরকারি আদেশে মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালনকারী সেনাসদস্যরা প্রদত্ত আইনি বিধান অনুসারে বেআইনি জনসমাগম ছত্রভঙ্গ করেন। অতএব দায়িত্বরত এই সেনাসদস্যদের আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিষয়টি ইতোমধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু এ বক্তব্য বিকৃত করে একটি মহল গুজব ছড়ানো শুরু করে। সেনাপ্রধান যা বলেননি সেটি তাঁর বক্তব্য হিসেবে অপপ্রচার করে একটি মহল।

সামনে নির্বাচন। দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সে কারণেই একটি মহল সেনাপ্রধান এবং সেনাবাহিনী সম্পর্কে গুজব ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং গণতন্ত্রে উত্তরণে সশস্ত্র বাহিনীর ওপরই আমাদের আস্থা রাখতে হবে। তাই তাদের বিরুদ্ধে, এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। থাকতে হবে সজাগ ও সচেতন।

এনডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।