ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

সাংবাদিকতা শেখা ও করার মুগ্ধতায় বাংলানিউজ

মিছিল খন্দকার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৯ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০১৫
সাংবাদিকতা শেখা ও করার মুগ্ধতায় বাংলানিউজ

২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসের কথা। বেটার অপরচুনিটি পেলে জব চেঞ্জ করব, সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ভাবলাম, কোন পত্রিকা বা অনলাইন নিউজ পোর্টালে যাওয়া যায়।

আগামীর পৃথিবী নাকি অনলাইনের। পত্রিকার প্রিন্ট ভার্সনের দিন শেষ, এমন কথাও শোনা যায়। তাই ভাবলাম, অনলাইন মাধ্যমটাই বেটার। তো অনলাইন মাধ্যমের মধ্যে প্রথম পছন্দের তালিকায় রাখলাম বাংলানিউজ২৪.কম।

কিন্তু এবার দুর্ভাবনা। সাংবাদিকতার সেন্সটা ভালোই আছে, কিন্তু বাংলানিউজকের কারও সঙ্গে তো পরিচয় নেই। পরিচয় ছাড়া তো সাংবাদিকতায় চাকরি পাওয়া সম্ভব না। তাহলে...!

বিষয়টা নিয়ে এক বয়োজ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপ করতেই তিনি বললেন, বাংলানিউজের এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন তো চাকরির ক্ষেত্রে যোগ্যতা বিচার করেন, সম্পর্ক নয়। তুমি তার ইমেইল অ্যাড্রেসটা জোগাড় করে, তাকে তোমার যোগ্যতার বিস্তারিত জানিয়ে সিভিটা মেইল করো। আমি দোদুল্যমান বিশ্বাস নিয়ে এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেনের ইমেইল অ্যাড্রেস সংগ্রহ করে আমার সিভি ও কাজের বিষয়ে বিস্তারিত লিখে মেইল করলাম। মেইল করার ১০ মিনিটের মধ্যে বিষয়টা ভুলেও গেলাম।

আমি ভুলে গেলে কী হবে, ২৪ ঘণ্টা কাজের মধ্যে থাকা পেশাদার ও বিচক্ষণ সাংবাদিক আলমগীর হোসেন ঠিকই আমাকে ফোন করলেন। নিজের পরিচয় দিলেন। তারপর পরের দিন সকাল ৮টায় বাংলানিউজ অফিসে যেতে বললেন। আমি তো বিস্ময়ে থ!

পরের দিন সকাল আটটা বাজার ৫ মিনিট আগে বাংলানিউজ অফিসে গিয়ে এডিটর ইন চিফকে আমার আসার বিষয়টা জানিয়ে এসএমএস করলাম। তিনি তৎক্ষণাৎ এসএমএস’র রিপ্লাই দিলেন। একজন নিউজরুম এডিটর এসে আমাকে নিয়ে গিয়ে কাজে বসিয়ে দিলেন। আধা ঘণ্টার মধ্যে এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন এসে হাসতে হাসতে বললেন, ২ দিন তোমার কাজ দেখবো। এর মধ্যে যদি মনে হয়, তুমি পারবে, তবে তুমি থাকবে। না হলে, এই শীতে আর কষ্ট করে আসার দরকার কী। এই হলেন এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন।

তার সেই ২ দিন গিয়ে প্রায় ৬ মাস হতে চলল। এই সময়ের মধ্যে দেখেছি, বাংলানিউজের কর্মযজ্ঞ, এডিটর ইন চিফের স্মার্ট নেতৃত্ব।

কনসালট্যান্ট এডিটর জুয়েল মাজহার, হেড অব নিউজ মাহমুদ মেনন, আউটপুট এডিটর জাকারিয়া মণ্ডলের কাছ থেকে এ স্বল্প সময়ে সাংবাদিকতার খুঁটিনাটি কতো কিছু যে শিখেছি! এ অফিসের নিউজরুমে সহকর্মীরা সবাই এতো হেল্পফুল, কর্মনিষ্ঠ- যে, এটা বাংলাদেশে সাংবাদিকতায় উদাহরণ হতে পারে। আমিও যার গর্বিত অংশীদার।

আর একটা কথা না বললে এ লেখা অপূর্ণ থেকে যাবে। বাংলানিউজে কাজ করতে গিয়ে যে জিনিসটা সবচেয়ে স্বতন্ত্র মনে হয়েছে, এ হাউজের পেশাদারিত্ব। নীতিনির্ধারকরা সাংবাদিকদের মেধা ও পাল্স বুঝে ডেস্ক থেকে কাউকে রিপোর্টিংয়ে পাঠানো, আবার রিপোর্টিংয়ের অনেককেই ডেস্কে এনে কাজ করানো, এমন ঘটনা এ ছয় মাসে হরেহামেশাই দেখেছি। আসলে কাজ শিখতে, করতেও যে এতো আনন্দ তা বাংলানিউজই আমাকে জানিয়েছে। ধন্যবাদ বাংলানিউজ।

লেখক: নিউজরুম এডিটর, বাংলানিউজ

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১৫
আরএম/জেডএম

** নিউজম্যানের গল্প

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।