ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

বিএনপির নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি গণফোরামের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
বিএনপির নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি গণফোরামের

ঢাকা: সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস-সহ সব নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করেছে গণফোরাম।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টুর সভাপতিত্বে তার নিজ কার্যালয়ে নির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সেখানে এই দাবি জানান তিনি।

মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, বিরোধীদলের গণতান্ত্রিক আন্দোলন সভা-সমাবেশ বানচাল করতে বিভিন্ন বিভাগীয় শহরসহ সর্বশেষ ঢাকায় যে নাটকীয় খেলা সাজাল তা রাজনৈতিক অঙ্গণকে কলুষিত করেছে। নয়া পল্টনে নেতাকর্মীদের জমায়েতে টিয়ার গ্যাস ও গুলি করে মানুষ হত্যা, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও কার্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ নথিসহ কার্যালয় লণ্ডভণ্ড করেছে। গভীর রাতে বাড়িতে গিয়ে সিনিয়র রাজনীতিক বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ডিবি কার্যালয়ে তুলে নিয়ে পরবর্তীতে গ্রেফতার দেখানো রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। গণফোরামের পক্ষ থেকে সরকারের গণতন্ত্র পরিপন্থী কার্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস-সহ সব নেতাকর্মীদের এই মিথ্যা মামলা থেকে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।

নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বলেন, বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন কিছুই নেই। বরং আইনের শাসনের নামে শাসন করার জন্য আইন ব্যবহার হচ্ছে, এটা সংবিধান ও আইনের পরিপন্থী। যার জন্য সরকারি কর্মচারী যেখানে সেবক হিসেবে কাজ করার কথা সেখানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নির্যাতন-নিপীড়ন, যন্ত্রনা-লাঞ্ছনাসহ সবকিছু করে জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়িয়েছে, যেটা সংবিধানের ১১ ও ৩৫ অনুচ্ছেদ বিরোধী। যারা এইসব কাজ করছে তাদের আইনের আওতায় এনে অবিলম্বে বিচার করতে হবে।

সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, এই সরকার শুধু মুখেই গণতন্ত্রের কথা বলে, অথচ কার্যকলাপ ও অন্তরে কর্তৃত্ববাদ পুষে রেখেছে। মধ্যরাতে ভোট চুরি করেও বলবে জনগণ ভোট দিয়েছে এটাই তাদের গণতন্ত্র। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে বলবে উন্নয়ন হচ্ছে। নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দাবি করবে কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার ভূলুণ্ঠিত করছে। ভাত ও ভোটের অধিকার রক্ষায় এদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল আজ দেশে ভোটের অধিকার নেই দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া ঊর্ধ্বগতির কারণে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠছে। এত কিছুর পরেও নাকি এরা গলা ফাটায় দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে আছে, আহারে! শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ব্যাংকিং খাতকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়েছে। জনগণের এই সরকার থেকে মুক্তি চায়। গণফোরাম সেই মুক্তির আন্দোলনে সব গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. জগলুল হায়দার আফ্রিক, অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
এমকে/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।