ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আ.লীগের সম্মেলনে পুলিশ-গোয়েন্দাকে যেভাবে চান হাসনাত আবদুল্লাহ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২২
আ.লীগের সম্মেলনে পুলিশ-গোয়েন্দাকে যেভাবে চান হাসনাত আবদুল্লাহ শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবক উপ-কমিটি এবং মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপ-কমিটির যৌথ বৈঠক। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা:  ২৪ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনে পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবক উপ-কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ।

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবক উপ-কমিটি এবং মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপ-কমিটির যৌথ বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের প্রতি এ সংক্রান্ত অনুরোধ জানান তিনি।  

বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও উপস্থিত ছিলেন

আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিশেষভাবে অনুরোধ করব তার পুলিশ বাহিনী, গোয়েন্দা বাহিনী যারাই আছে তারা অন্তত এই (সম্মেলন) সময়টাতে একটু স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করুক। এটাই আমার বিশেষভাবে অনুরোধ।

তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের বেশির ভাগ লোক লঞ্চে আসবেন। উত্তরবঙ্গ থেকে বাসে আসবেন। তাই বাস স্টেশনগুলোতে পুলিশ এবং অন্যান্য বাহিনীর সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য ব্যবস্থা আপনি (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) করবেন। কারণ আমাদের বিরোধী দল চাচ্ছে এখানে একটা অঘটন ঘটুক। এটা থেকে সতর্ক থাকতে হবে।

সুশৃঙ্খলভাবে সম্মেলন সম্পন্ন করার জন্য শৃঙ্খলা উপ-কমিটির সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানান হাসনাত আবদুল্লাহ।  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের দায়িত্ব পালনে আমি বিচ্যুতি ঘটেছে বলে দেখিনি। দায়িত্ব থেকে ফাঁকি দিয়ে অন্যদিকে চলে গেছে, এমন ঘটনা দেখিনি। আশা করি এবারও স্বেচ্ছাসেবক লীগ তথা উপ-কমিটি (শৃঙ্খলা) নেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবে।

তিনি বলেন, আমরা গড়তে চাই স্মার্ট বাংলাদেশ। সুশৃঙ্খল কর্মী-বাহিনী ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ হবে না। স্মার্ট বাংলাদেশের পূর্ব শর্ত শৃঙ্খলা। সভা করব সুশৃঙ্খল, বিজয়ের মাসে সম্মেলনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষের উপস্থিতি হবে বিশাল। সম্মেলন সাদামাটা হবে, তবে লোকসমাগমে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে যাবে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু প্রমুখ।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, ১৯ ডিসেম্বর  
এনবি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।