ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

রাজনীতি

দুই মামলায় ফখরুল-আব্বাস-গয়েশ্বরসহ ১০৬ জনকে অব্যাহতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৩৮, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫
দুই মামলায় ফখরুল-আব্বাস-গয়েশ্বরসহ ১০৬ জনকে অব্যাহতি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

নাশকতার পৃথক দুই মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ১০৬ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার দুটি আদালত পৃথকভাবে এ আদেশ দেন।

এর মধ্যে ছয় বছর আগে ‎যানবাহন পোড়ানোর অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানার মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ ৭৭ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ সাব্বির ফয়েজ। পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের অব্যাহতির এ আদেশ দেন।

এ মামলায় উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি নেতা সাইফুল আলম নিরব ও সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু।

‎মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে এসব মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পুলিশ তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। আদালত সে প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আসামিদের অব্যাহতি দেন।

‎‎মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। আগের দিন ১১ ডিসেম্বর রাজধানীর শাহবাগ থানার বার কাউন্সিলের নির্মাণাধীন প্রধান ফটকের সামনে দুষ্কৃতকারীরা মোটরসাইকেলসহ যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতিসাধন করে। আসামিরা জামিন শুনানির রায়কে প্রভাবিত করার লক্ষ্যে এবং বিচার বিভাগকে চাপ প্রয়োগের জন্য মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।

অপরদিকে এক যুগ আগে রাজধানীর রমনা থানায় নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ২৯ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান এ আদেশ দেন।

এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপি নেতা মীর সরাফত আলী সপু, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, যুবদল নেতা হামিদুর রহমান হামিদ।

আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, আজ মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করা হলে আদালত এ বিষয়ে শুনানি শেষে মামলাটি প্রত্যাহার করে সব আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২ মার্চ রাজধানীর রমনা থানাধীন শান্তিনগর এলাকায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি। এ সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় রমনা থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক মো. আশফাক রাজীব হাসান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।