ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

উকিল আবদুস সাত্তারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করল জেলা বিএনপিও

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২৩
উকিল আবদুস সাত্তারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করল জেলা বিএনপিও

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: সদ্য দল থেকে পদত্যাগ করা বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির এবার অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি।

সোমবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে শহরের পাওয়ার হাউজ রোডে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে জেলা ছাত্রদল আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জিল্লুর রহমান।

এ সময় তিনি বলেন, দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ভালবাসা ও নিরলস প্রচেষ্টা এবং সহযোগিতায় বিএনপি থেকে নির্বাচিত সাবেক এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া উপ-নির্বাচনের (সরাইল-আশুগঞ্জ নির্বাচনী আসন) মনোনয়নপত্র কিনে দলের সঙ্গে চূড়ান্ত বেঈমানি করেছেন।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের রক্তের বিনিময়ে চলমান আন্দোলনের প্রধান ইস্যু ছিল নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং এই অবৈধ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ নয়। অথচ বিএনপি থেকে সর্বোচ্চ সম্মান পাওয়া অকৃতজ্ঞ এই ব্যক্তি শেষ জীবনে লোভের কাছে বিক্রি হয়ে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়ে দলের ভাবমর্যাদা চরমভাবে ক্ষুণ্ন করায় কেন্দ্রীয় বিএনপি তাকে দলের সবধরনের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে। তিনি এ সময় জেলা বিএনপিসহ সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বহিষ্কৃত উকিল আব্দুস সাত্তারের কোনো ধরনের কর্মকাণ্ডে অংশ না নেওয়ার জন্য জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে দলীয় কোনো নেতাকর্মী যদি তার কোনো কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হয় এবং এর প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফোজায়েল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মহসিন হৃদয়ের সঞ্চালনায় সভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, অ্যাড. শফিকুল ইসলাম, এবিএম মমিনুল হক, মো. আসাদুজ্জামান শাহীন, নজির উদ্দিন আহম্মেদ, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে বিএনপির টিকেটে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। দলীয় সিদ্ধান্তে গত ১১ ডিসেম্বর তিনি জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) তিনি দলে গুরুত্ব না পাওয়ার অভিযোগ এনে অভিমানে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। এদিকে দল থেকে পদত্যাগের পর ওই আসন থেকেই আবারো নির্বাচনের জন্য রোববার (১ জানুয়ারি) মনোনয়নপত্র কেনেন তিনি। এদিন রাতে কেন্দ্র থেকে দলীয় শৃংঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাকে দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

তিনি ১৯৭৯ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বিএনপির টিকেটে দুইবার এমপি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে জোটকে আসনটি ছেড়ে দিলে টেকনোক্রেট কোটায় তিনি আইন ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২৩
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।