ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

পতন দেখে অসংলগ্ন কথা বলছেন আ.লীগ নেতারা: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৩
পতন দেখে অসংলগ্ন কথা বলছেন আ.লীগ নেতারা: ফখরুল

ঢাকা: আওয়ামী লীগ নেতারা পতন দেখতে পেয়ে অসংলগ্ন কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

‘আওয়ামী লীগকে হটানো যাবে না’ আওয়ামী লীগের নেতাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেছেন, পতন যখন স্পষ্ট হয়, যখন পতন দেখতে পায়, তখন এ ধরনের অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, যেকোনো ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচারী, একনায়কতন্ত্র; যে সরকারগুলো থাকে, যারা নির্বাচিত নয়। জনগণের সঙ্গে যাদের কোনো সম্পর্ক থাকে না তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়। যখন জনগণ প্রতিবাদ করতে শুরু করেন তখন এ ধরনের সরকারগুলো আগ্রাসী হয়। নিপীড়নমূলক হয়, নির্যাতন শুরু করে। কিন্তু ইতিহাস প্রমাণ করে নির্যাতন-নিপীড়ন করে আন্দোলন দমন করা যায় না, বিজয় অবশ্যম্ভাবী।

‘আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া সহজ নয়’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনেক কথারই আমরা জবাব দেই না। কারণ উনি কখন কি বলেন এটা জনগণ বুঝতে পারেন না। কি লক্ষ্যে বলেন কি কারণে বলেন? এটার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন নেই, কাজেই এটা প্রমাণ হবে।

সরকারের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, কিছুদিন আগে বলতেন আমরা (বিএনপি) নাকি রাস্তায় দাঁড়াতে পারি না। আমাদের নাকি কোমর নেই। এখন এত অস্থির হয়ে গেছেন, সব রকম শক্তি নিয়োগ করে আপনারা জনগণের ওপর অত্যাচার-নিপীড়ন করছেন এ আন্দোলনকে বন্ধ করার জন্য। তার অর্থই হচ্ছে এখন সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। সরকার প্রমাণ করেছে যে ভয় পেয়েছে। অত্যন্ত বেশি ভীতু হয়ে তারা এখন আমাদের ওপর আক্রমণ করছে।

তিনি আরও বলেন, বিরোধীদল বিহীন আগে যে বাকশাল গঠন করেছিল সেই লক্ষ্যে তারা কাজ করছে। গত ৭ ডিসেম্বর এরা বিএনপির গণসমাবেশ থেকে ও বিএনপি অফিস থেকে নেতাকর্মীদের আটক করেন। এখনও ৪৩৬ জন নেতাকর্মী কারাগারে আছেন।

এ সময় তিনি ফরিদপুর ও ময়মনসিংহে গণমিছিল কর্মসূচিতে পুলিশের সহযোগিতায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সশস্ত্র  হামালা চালায় বলে অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে গতকাল বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচিতে সারাদেশে হামলা-গ্রেফতার এবং মামলার বিষয়ও তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।

১৬ জানুয়ারির কর্মসূচিতে পরিবর্তন, সংসদ বাতিল, বেগম খালেদা জিয়া ও নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবি এবং বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবি ঘোষিত কর্মসূচিতে পরিবর্তন করেছে বিএনপি। জেলা শহর বাদ দিয়ে সারাদেশে মহানগর ও উপজেলায় সমাবেশ-মিছিল করবে দলটি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল মিন্টু, অ্যাডভোকেট আহমদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলম ও বিএনপি নেতা আনিসুর রহমান খোকন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৩
এমএইচ/এসআইএ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।