ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

‘সরকার হটাতে ইস্পাত কঠিন গণঐক্য সৃষ্টি করতে হবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৩
‘সরকার হটাতে ইস্পাত কঠিন গণঐক্য সৃষ্টি করতে হবে’ ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: সরকার হটানোর আন্দোলনে ‘ইস্পাত কঠিন গণঐক্য’ সৃষ্টি করতে বিএনপিকেই দায়িত্ব নিতে হবে উল্লেখ করে এজন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, একটা কথা মনে রাখতে হবে- যেখানেই গণতন্ত্র সেখানেই বিএনপির অবদান। আর যেখানে আওয়ামী লীগ সেখানেই গণতন্ত্রকে হত্যা। তাই আজকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের দায়িত্ব নিতে হবে এদেশের সব জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে ইস্পাত কঠিন গণঐক্য সৃষ্টি করে আগামী দিনে সরকার বিদায়ের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হবে।  

তিনি বলেন, আপনাদের কাছে সর্বশেষ আহ্বান আমরা এ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সব প্রকার আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। আগামী দিনেও সরকার বিদায় হওয়া পর্যন্ত আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিকভাবে-নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করে এ সরকারকে বিদায় করবো এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি।  

আরও লুট করতেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে দাবি করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, কয়েকদিন আগে সরকার কোনো নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে, বিদ্যুতের যে একটি কমিশন আছে তাদের কোনো মতামত না নিয়ে, গণশুনানি না করে প্রশাসনিক হুকুমের মাধ্যমে বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়িয়েছে এবং বলেছে যে, মাসে মাসে নাকি এ বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করবে। অর্থাৎ এ ৫ শতাংশ নয়, ভবিষ্যতে বিদ্যুতের দাম আরও তারা বাড়াবে।

আজকে সারাদেশের মানুষ এ বিদ্যুতের দাম পরিশোধ করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়েছে। আপনারা জানেন ২০০৬ সালে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে যখন সরকার ছিল বিদ্যুতের ইউনিট প্রতি যে সর্বোচ্চ দর ছিল ২ টাকা ৬০ পয়সা, এখন তা ১১ টাকার ওপরে। কেন এ দাম করেছে? কারণ কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেও ক্যাপাসিটি চার্জের মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতে অর্থ লুট করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে।

১০ দফা দাবিতে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছে এটি তার তৃতীয় কর্মসূচি। গত ২৪ ডিসেম্বর ৯ বিভাগীয় শহরে, ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় যুগপৎ আন্দোলনে প্রথম কর্মসূচি গণমিছিল ও ১১ জানুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি করে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো।

ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও উত্তরের আমিনুল হকের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও আবদুস সালাম আজাদ বক্তব্য দেন।

বিক্ষোভ মিছিলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভাইস চেয়ারম্যান ছাড়াও দলের কেন্দ্রীয় নেতা  মীর সরাফত আলী সপু, শিরিন সুলতানা, রকিবুল ইসলাম বকুল, মাশুকুর রহমান মাশুক, মীর নেওয়াজ আলী, হুমায়ুন কবির খান, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, সালাউদ্দিন ভূঁইয়া শিশির, ফরিদা ইয়াসমিন, সাইফুল আলম নিরব, আকরামুল হাসান মিন্টু, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, মহানগর বিএনপির নবী উল্লাহ নবী, যুব দলের মামুন হাসান, মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, রাজিব আহসান, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, মোস্তাফিজুল করিম মজুমদার, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, তাঁতী দলের কাজী মুনিরুজ্জামান মুনির, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, উলামা দলের মাওলানা আবুল হোসেন, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২২
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।