ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

উপনির্বাচনে ৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩
উপনির্বাচনে ৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি: ফখরুল

ঢাকা: ছয়টি আসনের উপনির্বাচনকে তথাকথিত নির্বাচন দাবি করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই উপনির্বাচনে তাদের হিসাব অনুযায়ী ভোট দেওয়ার হার ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। আমাদের হিসাব মতে এটা ৫ শতাংশের বেশি না।

তিনি বলেন, আজ পত্র-পত্রিকায় ছবিগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন একেবারে ২০১৪ সালের ‘কুত্তা মার্কা’ নির্বাচনের মতো। ভোটকেন্দ্রে কুকুর শুয়ে আছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থাকে এই পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। গণতন্ত্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে তারা ধ্বংস করে ফেলেছে।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে এই যৌথসভার আয়োজন করা হয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, একদিকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস, অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, পুলিশ সন্ত্রাস করে আন্দোলনকে দমন করার চেষ্টা করছে। এর প্রতিবাদে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি সমাবেশ করবে বিএনপি।

তিনি বলেন, এই সরকার বাংলাদেশের সমস্ত অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে গণতন্ত্রের যে কাঠামো সেটা ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে।

২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবেকে ফখরুল চিঠি দিয়েছিলেন—পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের এই মন্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসবিচ বলেন, আমরা তো বহু লোককে চিঠি দিয়েছি, বহু দেশকে চিঠি দিয়েছি। অবশ্যই দিয়েছি। এটা তো অস্বীকার করিনি। দেশের চলমান যে শাসন ব্যবস্থা, আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে, মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে, দুর্নীতি-লুটপাটের মধ্যে দিয়ে, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে গুম করছে, খুন করছে, প্রতিমুহূর্তে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, এগুলা আমরা সারা পৃথীবিকে জানিয়েছি।

তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যে আন্দোলন চলমান রয়েছে তাকে নস্যাৎ করার জন্য তারা (আওয়ামী লীগ) পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। এই সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আমাদের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা যখনই কর্মসূচি দিচ্ছি তখন একই সময় তারা পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। তারা যে ভাষা ব্যবহার করছে সেটা সম্পূর্ণভাবে সন্ত্রাসী ভাষা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম আজাদ, মীর শরাফত আলী সপু, বেনজীর আহমেদ টিটু, রফিকুল আলম মজনু ও আমিনুল হক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৩
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।