ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

বিএনপির উদ্দেশ্য সফল হয়নি: ওবায়দুল কাদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩
বিএনপির উদ্দেশ্য সফল হয়নি: ওবায়দুল কাদের

ঢাকা: বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে 'বিএনপি একটা উদ্দেশ্য নিয়ে যা করেছে, সেটা সফল হয়নি' বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।  

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলনের টার্গেটে ফেল করেছে। ১০ তারিখে সরকার পতনের টার্গেটে নেমেছিলো তারা। তাদের আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা নেই। আন্দোলন কেবলই নেতাকর্মীদের আন্দোলন। এখানে কোনো জনগণ নেই। জনসম্পৃক্ততা ঘটেনি বলে তারা নিরব পদযাত্রা করছে। বিএনপি আন্দোলন শুরুই করেছে গরম দিয়ে, ফলে তাদের আন্দোলন শুরুর আগেই শেষ হয়ে গেছে।

বগুড়া-৪ আসনে হিরো আলমকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তার অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'যার কথা বলছেন, এ নাম নিয়ে অহেতুক আমি আর বিতর্কে যেতে চাই না। বিএনপি একটা উদ্দেশ্য নিয়ে যা করেছে, সে উদ্দেশ্যটা সফল হয়নি, এটুকুই।

এই উপ-নির্বাচনে ভোট কম পড়েছে। মানুষ ভোট দেওয়ার প্রতি কেন আগ্রহ হারাচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই উপ-নির্বাচনে মানুষের আগ্রহ কম থাকে। কেননা, এটা দিয়ে তো সরকারের বা নিজেদের খুব বেশি লাভ-ক্ষতি কেউ খুঁজে পায় না।

জাতীয় নির্বাচনেও কি চিত্রটা এরকমই থাকবে? জানতে চাইলে কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচন আর উপ-নির্বাচন কী এক কথা হলো? এখানে কতগুলো বিষয় আছে। জাতীয় নির্বাচনে প্রধান-প্রধান দলগুলো অংশগ্রহণ না করলে সেখানে সাংবিধানিক তারতম্য হবে। যেহেতু জাতীয় নির্বাচনে সরকার গঠনের বিষয় আছে, সেখানে অবশ্যই পার্সেন্টেজ (ভোটার উপস্থিতি) অনেক বেশি হবে। আমরা আশা করছি, বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে, আওয়ামী লীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় না।

তিনি বলেন, বিএনপি যে বলে বেড়াচ্ছে, তারা দেশের সবচেয়ে বড় দল। তাদেরকে বলবো, নির্বাচন ছাড়া কোন দল বড় আর কোন দল ছোট, সেটি নিরূপণ করা যাবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) যে টার্গেট নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিল, গণঅভ্যুত্থানের মাধ‌্যমে সরকার পতন। গণঅভ্যুত্থানে জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া গণ বিস্ফোরণ কী করে হয়, যেখানে জনগণই নেই। তাদের যে আন্দোলন সেটা তাদের নেতাকর্মীদের আন্দোলন। তাদের আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা ঘটেনি বলে তারা পথ হারিয়েছে। তারা এখন নিরব পদযাত্রায় নেমে এসেছে।

সরকারের উন্নয়নে বিএনপির আন্দোলন তলিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, এদেশে আন্দোলনে হেরে গেলে নির্বাচনে তাদের জেতার সম্ভাবনা থাকে না। আমাদের দেশে যে দল আন্দোলনে বিজয়ী হয়, নির্বাচনেও তারা বিজয়ী হয়। এখন আন্দোলনে তাদের পরাজয় ঘটেছে, আমি বলতে পারি। কাজেই নির্বাচনে হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় তারা এখন এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চায়, যাতে অনির্বাচিত সরকার আসে। আরেকটা ওয়ান-ইলেভেন আসে। তারপরও আওয়ামী লীগ না আসুক। তারপরও শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকুক।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে হটাতে অন‌্য যে কেউই ক্ষমতায় আসুক, তাতে বিএনপির আপত্তি নেই। এটা হলো তাদের মনোভাব। তাদের আজকের গোপন অভিসন্ধি, তাদের গোপন কর্মকাণ্ডের ধরন, তা থেকে এটা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। তবে আমরা নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকব। এটা আমাদের কর্মসূচি, আমাদের এজেন্ডা। আমরা এটা থেকে সরে দাঁড়াব না। কারণ আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপির আন্দোলন যখন ব‌্যর্থ হয়, তারা সন্ত্রাসের দিকে ঝুঁকে পড়ে। ২০১৩-১৪ সালে আমরা তা দেখেছি। সেই আশঙ্কা এখনও আছে। বিএনপি আন্দোলনে যখন ব্যর্থ হয়, তখন বিএনপি জ্বালাও পোড়াও অগ্নি সন্ত্রাসের মতো সহিংসতায় নেমে পড়ে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩
জিসিজি/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।