ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই: জিএম কাদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩
আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই: জিএম কাদের

ঢাকা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলেই সমাজে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়।

জবাবদিহিতা নিশ্চিত হলেই রাষ্ট্রে প্রজাতন্ত্র সফল হয়। কারণ, প্রজাতন্ত্র হচ্ছে প্রজারাই রাষ্ট্রের মালিক। তারা দেশ পরিচালনার জন্য পছন্দমতো প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন আবার প্রজাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে কাজ করলে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি পরিবর্তন করতে পারবেন। দেশে সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচারভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

রোববার (০৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় বনানী কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বৈষম্য দূর করতে হবে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনেই আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাই, বৈষম্য হচ্ছে স্বাধীনতার চেতনা পরিপন্থি। দেশে দিনে দিনে বৈষম্য বেড়ে যাচ্ছে। একদল মানুষ তিন বেলা খেতে পারছে না। টাকার অভাবে সন্তানের চিকিৎসা করতে পারছে না। আরেক দল হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হচ্ছেন। তারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছেন।

সভায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরও বলেন, দেশের মানুষ নিষ্পেষিত হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের মাঝে হাহাকার উঠেছে। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। আবার বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের কারণে এলসি খুলে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই, চাহিদার তুলনায় কম পণ্য আমদানি হচ্ছে দেশে। এ কারণেই বাজারে প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী নেই। এ কারণেই হুঁ হুঁ করে বেড়ে যাচ্ছে নিত্যপণ্যের দাম। আবার কাঁচামাল আমদানি সংকটে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কল-কারখানা। বেকারত্বে সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাচ্ছে, অন্যদিকে মানুষের আয় বাড়ছে না। তাই দেশের মানুষের মাঝে চাপা হাহাকার বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষের কষ্ট বোঝার যেনো কেউ নেই।

তিনি বলেন, কথা বলার অধিকার মানুষের জন্মগত অধিকার। আমি গণমানুষের পক্ষে কথা বলবো, এটা আমার শুধু অধিকারই নয়, কর্তব্যও। সরকারের ভুল-ক্রুটি ধরিয়ে দিলে সরকারের উপকার হয়। মানুষের সমালোচনার অধিকার নিশ্চিত হলে দেশ ও দেশের মানুষের মঙ্গল নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ভালো কাজের জন্য মূল্য দিতে হয়। তাই আমাদের প্রতিটি ভালো কাজের জন্যই মূল্য দিতে হবে। সেজন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতেও নির্দেশ দেন জিএম কাদের।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সকল সুযোগ-সুবিধা নিয়েও সংসদ বর্জন করেছে। দল দুটি সংসদ বর্জনের সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছে। আবার রাজপথে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়ে জনমণে আতংক সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি গণমানুষের শান্তি নষ্ট করেছে। জাতীয় পার্টি সব সময় সাধারণ মানুষের শান্তির জন্য রাজনীতি করে।

জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম পাঠানের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মোস্তফা আল মাহমুদ, জহিরুল ইসলাম জহির, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাবুবুর রহমান লিপটন, ইঞ্জিনিয়ার মনির আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান খান, শফিকুল ইসলাম শফিক, এইচএম শাহরিয়ার আসিফ, জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব বেলাল হোসেন, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, হুমায়ুন খান, কাজী আবুল খায়ের, সম্পাদকমণ্ডলী এমএ রাজ্জাক খান, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, যুগ্ম সম্পাদক আজহারুল ইসলাম সরকার, জাকির হোসেন মৃধা, মীর সামছুল আলম লিপটন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৩
এসএমএকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।