ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

বিসিসি নির্বাচন: প্রার্থী হওয়া বিএনপির ১৯ জনকে শো-কজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৯ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২৩
বিসিসি নির্বাচন: প্রার্থী হওয়া বিএনপির ১৯ জনকে শো-কজ

বরিশাল: দলীয় সিদ্বান্ত উপেক্ষা করে বরিশাল সিটি নির্বাচনে বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বিএনপির ১৯ প্রার্থীকে শো-কজ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০১ জুন) রাতে নির্বাচনে অংশ নেওয়া ১ মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর পদের ১৫ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের তিন প্রার্থীকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহানগর বিএনপির বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা মো. জাহিদুর রহমান রিপন।

প্রত্যেককে নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নোটিশ প্রাপ্তরা হলেন-বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির তিন যুগ্ম আহ্বায়ক ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী হাবিবুর রহমান টিপু, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. হারুন অর রশিদ ও ১৯ নং ওয়ার্ডের অ্যাডভোকেট শাহ আমিনুল ইসলাম আমিন।

এছাড়াও নির্বাচনে থাকা মহানগর বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ৯ নং ওয়ার্ডের সেলিম হাওলাদার, সংরক্ষিত সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জাহানারা বেগম, ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সেলিনা বেগম এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে অংশ নেওয়া রাশিদা পারভীন।

নোটিশ পাওয়া অন্যরা হলেন-নগরীর ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউল হক মাসুম, একই ওয়ার্ডের প্রার্থী দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাবের আব্দুল্লাহ সাদি, একই ওয়ার্ডের প্রার্থী বরিশাল জেলা তাতি দলের সাবেক সভাপতি কাজী মোহাম্মদ শাহীন, ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, নগরীর ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সিনিয়র সভাপতি হাবিবুর রহমান ফারুক, ৯ নং ওয়ার্ড যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ হুমায়ন কবির লিংকু, ১৫ নং ওয়ার্ড থেকে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, ২২ নং ওয়ার্ড মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেসমিন সামাদ, ২৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ও মহানগরের সাবেক সহসভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ, ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ফরিদউদ্দিন হাওলাদার ও ২৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির।

বর্তমানে কোনো পদ-পদবি না থাকা ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য মেয়র পদের প্রার্থী কামরুল আহসান রুপনকেও নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সে প্রার্থী হওয়ার পর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মীর জাহিদুল কবির জাহিদ জানিয়েছিলেন, রুপন বিএনপির কেউ নয়।

তবে রুপন জানিয়েছেন গত রাত পৌনে ১১টার দিকে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মীর জাহিদুল কবির জাহিদ তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশটি মোবাইলে পাঠিয়েছেন। তিনি ওই কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়ে বলেন, এ বিষয়ে পরবর্তীতে আপনাদের জানাবো।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৫ বছর ধরে অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ দেশপ্রেমিক জনগণ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়া ৫ বছর ধরে কারাভোগ করছেন। হত্যা, নির্যাতনসহ বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মীদের মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে। অনেক নেতাকর্মী গুম রয়েছে। এ অবস্থায় নির্বাচন না করার সিদ্বান্ত নেওয়া হয়েছে। দলের সদস্য হয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা করে সিদ্বান্তকে উপেক্ষা করেছেন।

কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার কারণ জানিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দলের কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।

চিঠি পাঠিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

নোটিশ পাওয়া ১৮ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী জাবের আব্দুল্লাহ সাদি বলেন, আমার তো দলে কোনো পদ নেই। এখন কি তাহলে সমর্থক পদ থেকে বহিষ্কার করবে ?

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২৩
এমএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।