ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা চলমান: শেখ পরশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২৩
১৫  আগস্টের ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা চলমান: শেখ পরশ

ঢাকা: যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, ১৫ আগস্টের মর্মন্তুদ হত্যাকাণ্ডের পেছনে ষড়যন্ত্র ছিল- আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করা, বাঙালির পরিচয় বিনষ্ট করা, ষড়যন্ত্র ছিল আমাদের স্বাধীনতার মূলমন্ত্রগুলো ধ্বংস করা, আমাদের গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িক ধর্ম নিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র, অর্থনীতির স্তম্ভগুলো ধূলিসাৎ করে দেওয়া।  

তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য হত্যার মাধ্যমে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করে।

সেই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা এখনো চলমান। রাতের অন্ধকারে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে যারা সপরিবারে হত্যা করে, নারী ও শিশুদের যারা রক্ষা দেয়নি, তারা আবার বাংলাদেশের মাটিতে রাজনৈতিক দল করে গণতন্ত্রের কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে।  

বৃহস্পতিবার ( ১৭ আগস্ট) ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার বার্ষিকীতে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত  বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

পরশ বলেন, আমাদের কথা বলার ভাষা থাকে না। আমরা ২১ বছর কোনো বিচার পাইনি। দ্বারে দ্বারে দৌড়াতে হয়েছে। তারা আজও সেই ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। হত্যার ষড়যন্ত্র এবং লাশ ফেলা তাদের রাজনৈতিক কৌশল।

তিনি বলেন, আমি মনে করি জননেত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে আল্লাহ বিচার করেছেন। কোন মানুষের পক্ষে ওই দুর্বিসহ, অপরিসীম সাহস দেখানো সম্ভব না। জননেত্রী শেখ হাসিনার ৩৫ বছরের অপেক্ষার মাধ্যমে, বন্দুকের নলকে উপেক্ষা করে, লোভ-লালসা বিসর্জন দিয়ে, জীবনের ওপর হুমকি, আক্রমণ উপেক্ষা করে খুনিদের বিচার করেছেন।

সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান আরও বলেন, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট তারা দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা করলো, তারা আঘাত করলো প্রেস ক্লাবে। কারণ তারা ২০০১-২০০৫ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে তারা হত্যা করেছে। তাদের এসব হত্যাকাণ্ড, সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার, সাধারণ মানুষের আর্তনাদ যেন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ না করা হয়, সে কারণেই প্রেস ক্লাবে তারা বোমা হামলা চালায়। তারা আঘাত করল বিচারালয়ে, যেন বিচারক এবং সাধারণ মানুষ ভয় পায়। ভয়-ভীতি প্রদর্শন, সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্র এইগুলোই বিএনপির রাজনীতির অস্ত্র, রাজনৈতিক কৌশল। এর বাইরে তারা আর কোনো কৌশল জানে না। তারা লাশের রাজনীতি করতে চায়, তারা মানুষ হত্যা করে সেটা আওয়ামী লীগের ওপর চাপিয়ে দেবে।  

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, তাজউদ্দিন আহমেদ, জসিম মাতুব্বর, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২৩ 
এনবি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।