ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘শর্ত মেনে খালেদা জিয়া বিদেশে যাবেন না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩
‘শর্ত মেনে খালেদা জিয়া বিদেশে যাবেন না’

ঢাকা: যুগপৎ আন্দোলনের শরিক জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। অবিলম্বে তার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা দরকার।

কিন্তু সরকারের কোনো শর্ত মেনে তিনি বিদেশে যাবেন না। তাহলে ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময়েই তিনি বিদেশে যেতে পারতেন। তিনি বেগম জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবি জানান।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়সংলগ্ন আল-রাজি কমপ্লেক্সের সামনে একদফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ড. ফরহাদ।

ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকার পাঁয়তারা করছে। তবে ২০১৪-’১৮ আর ২০২৪ এক নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশে আগামীতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। এটি দেশবাসীরও দাবি। এ দাবিতে গণতন্ত্রগামী সব বিরোধী দল রাজপথে নেমেছে, জনগণও জেগে উঠেছে। তারা আর এদেশে কোনো প্রহসনের নির্বাচন হতে দেবে না। সুতরাং এ সরকার অবশ্যই পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। বিএনপিকে বাদ দিয়ে এ দেশে আগামীতে কোনো নির্বাচন হবে না বলেও দাবি করেন তিনি।

জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের এই সমন্বয়ক সরকারকে অবিলম্বে একদফা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অন্যথায় জনগণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করবে। তখন ক্ষমতাসীনরা পালানোর পথ পাবে না।  

ড. ফরহাদ বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট দাবি আদায় ছাড়া রাজপথ ছাড়বে না।

এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন-জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত, গণদলের চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী ও মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারিক, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির চেয়ারম্যান সুকৃতি কুমার মণ্ডল, বিকল্পধারার একাংশের মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল, এনপিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য নবী চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় নেতা মো. ফখরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ।

খন্দকার লুৎফর রহমান বলেন, আজকে গণতন্ত্র ধ্বংস করে বিএনপিসহ বিরোধীদলের লাখ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু হামলা-মামলা, অত্যাচার-নির্যাতন করে লাভ হবে না। এ সরকারকে যেতেই হবে। কারণ, এদের পতনের জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আগামীতে আর কোনো নির্বাচন হবে না বলে দাবি করেন তিনি।

সরকারপ্রধানের উদ্দেশে এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী বলেন, অবিলম্বে গণদাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নইলে জনগণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আপনাদের পদত্যাগে বাধ্য করবে।

এম এন শাওন সাদেকী বলেন, ক্ষমতায় থাকতে যতই ছলচাতুরি করুক না কেন, এ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হবে না। কারণ, জনগণ আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন এ দেশে হতে দেবে না। সুতরাং ক্ষমতাসীন সরকারকে অবশ্যই গণদাবি মানতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩
টিএ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।