ঢাকা: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, সময় এসেছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করার। দেশের জনগণকে এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে হবে।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে কোনো সংগঠন, যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পথ বেছে নিয়েছে তারা টিকতে পারে নাই। এখানেও যারা সন্ত্রাসীর পথ বেছে নিয়েছেন, তাদের ধ্বংস অনিবার্য।
সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। ‘বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসীদের পেট্রল বোমা হামলায় ট্রাক ড্রাইভার বেলাল হত্যার প্রতিবাদে’ এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আপনারা ভেবেছেন তথাকথিত গণতন্ত্রের নাম করে দুই একটি জায়গায় পেট্রল বোমা মেরে আগুন দিলেই আপনাদের সফলতা হয়ে যাবে। এখন আপনাদের আন্দোলন হচ্ছে পেট্রল বোমার এবং সেটি নিজেদের না, আউটসোর্সিং করে করাতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে দেশকে কিছুই দিতে পারে নাই। দেশকে বিশ্বের এক নম্বর দুর্নীতি রাষ্ট্র বানিয়েছিল। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে এ দেশকে সন্ত্রাসীর চারণভূমি বানিয়ে ছিল। জঙ্গি সংগঠন তৈরি করেছিল। সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল। অন্য দেশের জঙ্গিদের এখানে আশ্রয় দিয়ে তাদের অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। সেই বিএনপি কোন মুখে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে সেটা ভাবলে অবাক হয়ে যাই।
আওয়ামী লীগ সরকার দুর্বল সরকার নয় জানিয়ে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপির প্রধান নেতা কে সেটা বলতেই কর্মীরা সংকোচ বোধ করেন। কারণ তাদের নেতা খালেদা জিয়া অসুস্থ। রাজনীতি করার মতো তার শারীরিক সক্ষমতা নেই। তাদের নেতা হচ্ছে তারেক রহমান, লন্ডনে বসে আছে। তারেক রহমান রাজনৈতিক নেতা নয়, তারেক রহমান হচ্ছে সন্ত্রাসী নেতা। এমন সন্ত্রাসী নেতার মাধ্যমে দেশে কোনো কল্যাণ আসতে পারে না। জনগণের কোনো উপকারে আসতে পারে না। এটা জনগণ জানে বলেই তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তার প্রতিশোধে বিএনপি আজকে আগুন সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়েছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই পেট্রল বোমা মেরে , বাসে আগুন দিয়ে কোনো রাজনৈতিক সুবিধা অর্জন করা যাবে না। এ সরকার এত দুর্বল সরকার নয়।
হানিফ বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য সারা দেশের মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। নির্বাচন বানচাল করা অপরাধীদের কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। আপনারা যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন নাই, তারা ভুল করছেন।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কে এম আজম খুসরু, সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন মিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহেদী হাসান, শিক্ষা ও সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক শহীদ ডাকোয়া, শ্রমিক কল্যাণ সম্পাদক লুৎফর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মনির, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন পলাশ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রাজ্জাক মাতবর প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২৩
এমকে/আরআইএস