ঢাকা, সোমবার, ১৫ পৌষ ১৪৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

মমতাজের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই ভাই

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩
মমতাজের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই ভাই

মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জ-২ আসনে ক্ষমতাসীন দলের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মমতাজ বেগম অপর দিকে একই দলের আরও একাধিক প্রার্থী রয়েছে নির্বাচনী মাঠে। তবে সবচেয়ে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এক পরিবারের দুই ভাই এবার নির্বাচনী মাঠে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

 

জানা গেছে, নির্বাচনী মাঠে বড় ভাই কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুলকে সংসদ সদস্য বানাতে এসে নিজেই প্রার্থী হয়েছেন দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু। বর্ষীয়ান এ নেতা বড় ভাই টুটুলের পরিচয় এলাকায় পরিচিতি পান তিনি। জাহিদ আহমেদ টুলুর কোনো রাজনৈতিক পরিচয় ছিল না। এক সময় তিনি জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ পদ পেয়েই নৌকা প্রতীক চেয়ে মনোনয়নপত্র তুলেন। কিন্তু দলীয় প্রতীক না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন।

সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান বলেন, গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পর থেকেই দল ছুট কিছু আওয়ামী লীগের নেতারা কোনো সুযোগ সুবিধা না করতে পারায় তারা (দল ছুট নেতা) সুযোগ খোঁজ ছিল। সেই সুযোগ বুঝে জেলা পরিষদ নির্বাচনে কিছুটা এর বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে ছিল। এখন মমতাজ বেগমের উন্নয়নকে ব্যাহত করতে হাতিয়ার হিসেবে উপস্থিত করেছে দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুকে। তাকে মানিকগঞ্জ-২ আসনের কেউ কোনো দিন দেখেইনি, তার বড় ভাই টুটুল ভাইয়ের পরিচয়ে এলাকায় পরিচিত ছিল।  

তিনি আরও বলেন, টুলু কোনো দিন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ছিল না। কিন্তু এবারের জেলা কমিটিতে কীভাবে যেন কোষাধ্যক্ষ পদে তার নাম আমরা দেখতে পাই। তাকে (দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু) নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে তিনি এই পথটি ভাগিয়ে নিয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা বিভাগের দায়িত্বে যিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম তার কাছে অভিযোগও দেওয়া হয়েছে।  

মানিকগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল বলেন, দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু কোনো দিন রাজনীতি করেনি। ছেলে হিসেবে টুলু অনেক সহজ সরল, ওকে কিছু লোকজন খপ্পরে ফেলেছে। পারিবারিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করার জন্যই একটি মহল এই চক্রান্ত করেছে। তাকে দিয়ে চক্রান্তকারীরা যেভাবে টাকা পয়সা খরচ করাচ্ছে তাতে শুধু মানিকগঞ্জ-২ আসনের ক্ষতিই হচ্ছে না পুরো জেলার বদনাম হচ্ছে। নির্বাচনী মাঠে ছোট ভাইকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই দেখছি।  

এ বিষয়ে দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি, শেখ হাসিনার রাজনীতি করি। এই আসনটি মমতাজ বেগমের পরিবার কেন্দ্রিক হয়ে গেছে। অধিকাংশ ইউপি চেয়ারম্যান এবং সাধারণ জনগণের ভালোবাসা আছে আমার সঙ্গে। বড় ভাইয়ের এক সময়ের সহযোদ্ধা ছিলাম আমি। তবে এবার নিজেই নির্বাচন করছি, তিনি (বড় ভাই) আমার নির্বাচনী মাঠের একজন প্রতিদ্বন্দ্বী। আমরা দুজনেই যার যার মতো করে গণসংযোগ করছি।  

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আমিনুর রহমান বলেন, মানিকগঞ্জ-২ আসনে মোট ১০ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই তারা শান্তিপূর্ণভাবে প্রচার -প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।