ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সয়াবিন ক্ষেতে মিলল আওয়ামী লীগ নেতার মরদেহ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৪
সয়াবিন ক্ষেতে মিলল আওয়ামী লীগ নেতার মরদেহ  মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ

বরিশাল: বরিশালের হিজলায় সয়াবিন ক্ষেত থেকে আওয়ামী লীগের এক নেতার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে বলে এটি হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

নিহত জামাল মাঝি বরিশাল-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য (এমপি) পংকজ দেব নাথের অনুসারী।
 
নিহত জামাল উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলে ওই এমপি জানিয়েছেন।  

শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবাইর জানিয়েছেন।

নিহতের স্ত্রী আঁখি বেগম জানিয়েছেন, রাতে বাড়ি না ফেরায় ২টার দিকে স্বামী জামাল মাঝির মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হয়। তখন তিনি জানিয়েছিলেন ভালো আছেন ও নিরাপদে আছেন। সকাল ৯টার দিকে তিনি জানতে পারেন তার স্বামীর মরদেহ ক্ষেতে পড়ে আছে।

আঁখির অভিযোগ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ঢালীর নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী বাহিনী স্বামীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে।

এমপি পংকজ দেবনাথ জানান, ২ মার্চ হিজলার ধুলখোলা ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামাল মাঝির বাড়িতে হামলা করেন সংরক্ষিত সংসদ সদস্য ড. শাম্মী আহমেদ গ্রুপের ইউপি চেয়ারম্যান জামাল ঢালীর নেতৃত্বে ৪০/৫০ জন সন্ত্রাসীরা। তারা জামাল মাঝিসহ পরিবারের সাত সদস্যকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেন। পরে জামাল মাঝির ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় জড়িত সাইফুল ইসলাম নামে এমপি শাম্মীর এক অনুসারীকে শুক্রবার (১৫ মার্চ) পেয়ে মারধর করা হয়। এ ঘটনার পর হিজলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দীপংকর রায় তার (এমপি পংকজ) অনুসারীদের এলাকা ছাড়া করেন। এমনকি কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

এমপির অভিযোগ, পুলিশ তার অনুসারীদের সেহরিও খেতে দেয়নি। পুলিশের কারণে সবাই এলাকা ছাড়া হলেও জামাল মাঝি একা ছিলেন। সকালে তাকে পেয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে ড. শাম্মী অনুসারীরা বলে অভিযোগ করেন ওই এমপি।  

অভিযোগ অস্বীকার করে পরিদর্শক (তদন্ত) দীপংকর রায় বলেন, গত ১৫ দিন ধরে ধুলখোলা ইউনিয়নে দুই গ্রুপের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। গত ১৫ দিনে থানা ও আদালতে পাঁচটি মামলা করেছে একপক্ষ অপরপক্ষের বিরুদ্ধে। শুক্রবারের একজনকে মারধরের খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখি দুইপক্ষ সশস্ত্র অবস্থায় রয়েছে। তখন দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করা হয়েছে। কোনো পক্ষের হয়ে তিনি কাজ করেননি।

হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবাইর বলেন, পরিত্যক্ত অবস্থায় লাশ পেয়েছি। কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কে বা কারা করেছে তা জানি না। তদন্ত করে বলতে পারবো কারা জড়িত।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৪
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।