ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

এমপি শাহরিয়ারকে আ.লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৪
এমপি শাহরিয়ারকে আ.লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের

রাজশাহী: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ায় রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে।

রোববার (২৯ জুন) বীর মুক্তিযোদ্ধারা এ দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের রাজশাহী জেলা ও মহানগর ইউনিট কমান্ড, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ’ ৭১ ও রাজশাহী মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড শনিবার (২৪ জুন) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা শাহরিয়ার আলমকে ‘ষড়যন্ত্রকারী’ হিসেবে উল্লেখ করে দ্রুত তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।

রাজশাহীর বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল আওয়ামী লীগের পরিশ্রমী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন। বাঘা দলিল লেখক সমিতির কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় তার। এর মূল পরিকল্পনাকারী শাহরিয়ার আলম। তাকে রাজশাহীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধারা বাবুল হত্যার বিচার চাই এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। পাশাপাশি শাহরিয়ার আলমের দ্রুত বহিষ্কার চাই।

বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও জাতীয় নেতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সন্তান এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র হিসেবে রাজশাহীর যে উন্নয়ন করছেন তা দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে শাহরিয়ার আলম তার বিরুদ্ধে ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। আওয়ামী লীগের একটি উপজেলা কমিটির সভাপতি হলেও শাহরিয়ার আলম দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা অত্যন্ত ধৃষ্টতাপূর্ণ। এর জন্য তার শাস্তি হওয়া অবশ্যই উচিত।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের রাজশাহী মহানগর ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাসার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসান খন্দকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা এন্তাজুল হক বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান।

আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গত ২২ জুন গুরুতর আহত হন বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৬ জুন তার মৃত্যু হয়।

এরপর ২৭ জুন বাবুলের জানাজায় গিয়ে এমপি শাহরিয়ার আলম দাবি করেন, সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আসাদুজ্জামান আসাদ ও বাঘা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু এ হত্যাকাণ্ডের পেছন থেকে মদদ দিয়েছেন। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন এবং তাদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকার ঘোষণা দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৪
এসএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।