নরসিংদী: নরসিংদীতে ১৬ মামলার আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী লিজন মোল্লাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (৩১ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে পৌর শহরের বাসাইল এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত লিজন মোল্লা নরসিংদী পৌর শহরের বাসাইল এলাকার আলমগীর মোল্লার ছেলে। তিনি নরসিংদী জেলা মৎস্যজীবী লীগের কার্যকরী সদস্য। । তার নামে হত্যা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৬টি মামলা রয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, শনিবার রাত ১১টায় লিজন তার বন্ধু বিল্লালকে নিয়ে শহরের বাসাইল এলাকার আরেক বন্ধু শামীমের বাড়িতে যান। সেখানে কিছুক্ষণ বসার পরে বিল্লালকে সিগারেট আনতে পাঠানো হয়। বিল্লাল ফেরার সময় লিজনকে রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় লিজনকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিল্লাল হোসেন বলেন, আমরা শামীমদের বাড়িতে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে তার স্ত্রী ও সন্তানকে বাইরে বের করে দেন। সেখানে কিছুক্ষণ বসার পর আমি সিগারেট আনতে বাইরে যাই। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে ফেরত আসতেই লিজনকে রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। এ অবস্থায় লিজনকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শামীম ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেই হত্যার সব কারণ বের হয়ে যাবে।
নিহতের মা মাজেদা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে পরিকল্পনা করে বাড়িতে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
নিহতের ভাই রিমন মোল্লা বলেন, ভাইয়ের সঙ্গে শামীমদের বাড়ির কয়েকজনের বিরোধ ছিল। তারা ভাইকে মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। তারা এর আগেও কয়েকবার হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। গতকাল পরিকল্পনা করেই ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। ভাইকে হাসপাতালে নেওয়ার পর এলাকায় ছড়ানো হয়েছে, ডাকাত হামলা করেছে। তারা নিজেরাই ভাইয়ের মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে ঘটনা অন্যদিকে নিতে চেয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচার দাবি করছি।
নরসিংদী সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মাহমুদুল কবির আরিফ জানান, লিজনকে রাতে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার হাতে, পিঠে ও তলপেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, লিজন মোল্লাকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। লিজনের নামে নরসিংদী সদর থানাসহ বিভিন্ন থানায় ১৬টি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে, দ্রুতই আসামিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪
এসআই