ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতাকে গণতন্ত্রের লড়াই জারি রাখার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪
দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতাকে গণতন্ত্রের লড়াই জারি রাখার আহ্বান

ঢাকা: দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতাকে গণতন্ত্রের লড়াই জারি রাখার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন।

১৩ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটি ও জাতীয় পরিষদের অনুষ্ঠিত সভা থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।

অনুষ্ঠিত দুটি সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম ও সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্নু।

সভার শুরুতে শহীদদের স্মরণে শোকপ্রস্তাব গৃহীত হয়। সাধারণ সম্পাদক বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি রিপোর্ট আকারে পেশ করেন। দুই দিনব্যাপী চলা সভায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান, সমসাময়িক রাজনীতির গতিপ্রকৃতি ও আগামী দিনের যুব সমাজের করণীয় নিয়েও আলোচনা করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, ছাত্র-জনতার এ অভ্যুত্থান প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলো। আওয়ামী সরকারের স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলো দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে সংগ্রাম করছিল। প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলো সর্বপ্রথম হাসিনাকে স্বৈরাচার হিসেবে আখ্যায়িত করে জনগণের মধ্যে নানা ধরনের কর্মসূচি নিতে থাকে। এতে ছাত্র-জনতা নীরবে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হতে থাকে। তার ধারাবাহিকতায় কোটা সংস্কার আন্দোলন পরবর্তিতে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়। এতে স্বৈরাচার হাসিনার পতন ঘটে।

বক্তারা আরও বলেন, এদেশের গণতন্ত্রকামী জনতা রক্ত ঝরিয়ে হাসিনার পতন ঘটিয়েছে। হাসিনার পতনের পর যারা অন্তর্বর্তী সরকারে এসেছে তাদের রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে এদেশের গণতন্ত্রকামী জনতার আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থি বলেই মনে হতে শুরু করেছে। এদেশের জনতা গণতন্ত্রের জন্য রক্ত ঝরিয়েছে মানে এই নয় যে তারা পশ্চিমা শক্তির ইচ্ছার বাস্তবায়ন করতে চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে দেশ চালাতে চায়, মৌলবাদী শক্তির আস্ফালন দেখতে চায়। কিন্তু আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের এমন কিছু কর্মকাণ্ড লক্ষ্য করছি যা ছাত্র-জনতার এ অভ্যুত্থান, এ চেতনাকে কালিমালিপ্ত করছে। আমাদের এ অভ্যুত্থানের স্বপ্নকে লুট করতে দেওয়া হবে না। দেশকে কোনো যুদ্ধের ময়দান হতেও দেবো না।

সভা থেকে বলা হয়, দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর তরুণ-যুব বেকার। তারা বৈষম্যের শিকার। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বেকার তরুণ-যুবদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতের ব্যাপারে কোনো ধরনের আলোচনা লক্ষ্য করছি না। অথচ এ অভ্যুত্থান এর মূল চালিকা শক্তি ছিল তরুণ-যুব। অথচ তারা এ সময়ে উপেক্ষিত বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। তাই যুব ইউনিয়ন এ বেকার যুবদের কর্মসংস্থান ও গণতন্ত্রের সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে জাতীয় যুব সমাবেশ করবে।

বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতাকে গণতন্ত্রের লড়াই জারি রাখার আহ্বান জানানো হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪
আরকেআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।