ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

‘জামায়াতে ইসলামী ছিল আ.লীগ সরকারের জুলুমের প্রধান টার্গেট’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২৪
‘জামায়াতে ইসলামী ছিল আ.লীগ সরকারের জুলুমের প্রধান টার্গেট’

ফরিদপুর: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জনগণের ওপর জুলুম, অত্যাচারের স্টিমরোলার চালিয়েছিল। জামায়াতে ইসলামী ছিল আ.লীগ সরকারের জুলুমের প্রধান টার্গেট।

জামায়াতের অনেক নেতাকে জুডিশিয়াল ক্যু’র মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। এরমধ্যে ফরিদপুরের দুই সন্তান তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ‌এবং জেনারেল সেক্রেটারি আব্দুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ’

রোববার (০১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে জেলা জামায়াতের এক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলন।

শফিকুর রহমান বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরে লগি-বৈঠা দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে এবং ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় ৫৭ জন চৌকস ও দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। আগামীতে জামায়াত ক্ষমতায় এলে এই ঘটনার সাথে জড়িত সবার বিচার করা হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশকে ন্যায়বিচার ও ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। এজন্য দেশে ইসলামী শাসনব্যবস্থা কায়েম করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে জনগণের ঘরে ঘরে গিয়ে ইসলামী শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে অবগত করার আহ্বান জানাচ্ছি।

জামায়াতের এ আমির বলেন, গত ৫ আগস্টের জনতার বিপ্লবে শহীদ হওয়া প্রতিটি নাগরিককে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। চিরজীবন এদেশের ছাত্রসমাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমরা শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকায়ন করে সাজাতে চাই যাতে শিক্ষাজীবন শেষে ছাত্রসমাজকে বেকার বসে থাকতে না হয়।

দেশের নারী সমাজের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হয় যে আমরা ক্ষমতায় গেলে দেশের মা-বোনদেরকে ঘরে আবদ্ধ করে রাখব। তিনি এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করেন।  

বাংলাদেশকে একটি ন্যায়ভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার আশাবাদ ব্যক্ত করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ফরিদপুরের মাটিকে জামায়াতে ইসলামীর দুর্গ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এছাড়া ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদ কোনো শক্তি যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

ফরিদপুর জেলা জামায়াতে ইসলামের আমির মাওলানা মুহাম্মদ বদরুদ্দনীর সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন - কেন্দ্রীয় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি ও ফরিদপুর অঞ্চলের পরিচালক এ এইচ এম হামিদুর রহমান, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও অঞ্চল সহকারী পরিচালক দেলোয়ার হোসেন, মো. মোবারক হোসেন, কেন্দ্রীয় মজলিসের শুরা সদস্য শামসুল ইসলাম আল বরাটি, কেন্দ্রীয় মাজলিসে সুরা সদস্য প্রফেসর আব্দুত তাওয়াব প্রমুখ।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, মাদারীপুর জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. মোখলেচুর রহমান, গোপালগঞ্জের আমির মাওলানা মো. রেজাউল করীম, শরীয়তপুর জেলা আমির মাওলানা আব্দুর রব হাসেমী, রাজবাড়ী জেলা আমির অ্যাডভোকেট. নুরুল ইসলাম, ফরিদপুর জেলা জামায়াতের অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি মো. আবু হারিচ মোল্যা, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি এস এম আবুল বাশার, ফরিদপুর সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. জসিম উদ্দীন, নগরকান্দা উপজেলা আমির মাওলানা মো. ছোহরাব হোসেন, বোয়ালমারী উপজেলা আমির মাওলানা মো. শহিদুল ইসলাম, ফরিদপুর পৌরসভার আমির এহসানুল মাহবুব রুবেল, জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আব্দুল হামিদ ও পৌর ছাত্র শিবিরের সভাপতি মো. জিহাদুল সালাম রত্ন প্রমুখ।  

এর আগে বেলা ১২টার পর বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের সদস্যরা নসিমন, করিমন ও বাসযোগে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হতে দেখা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।