ঢাকা, শুক্রবার, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ শাবান ১৪৪৬

রাজনীতি

কচুয়ায় সংঘর্ষে আহত বিএনপি নেতার মৃত্যু, আটক ৩

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫
কচুয়ায় সংঘর্ষে আহত বিএনপি নেতার মৃত্যু, আটক ৩ শওকত হোসেন

বাগেরহাট: বাগেরহাটের কচুয়ায় ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত বিএনপি নেতা শওকত হোসেন (৫০) মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

 

নিহত শওকত কচুয়া উপজেলার ছিটাবাড়ী গ্রামের ইমান উদ্দিন শেখের ছেলে। তিনি কচুয়া উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

জানা যায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি কচুয়া উপজেলার ধোপাখালি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে দেপাড়া বাজার এলাকায় নিজ দলীয় দুপক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন শওকত হোসেন। এসময় ধোপাখালি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী ও নিহতের ভাই মো. লিয়াকত হোসেনসহ অন্তত ১৫ জন গুরুতর আহত হন।  গুরুতর আহত শওকতকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। পরবর্তীতে হামলার ঘটনায় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী লিয়াকত হোসেন বাদী হয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আফজাল হাওলাদারসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। তবে এখন পর্যন্ত এই মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।

এদিকে বিএনপির এই নেতার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার দেপাড়া বাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপির নেতা-কর্মী ও নিহতের স্বজনরা। এছাড়া বিক্ষুব্ধ জনতা হামলাকারী আফজাল গ্রুপের সদস্য হায়দার আলীর গ্রামের বাড়ি ঘেরাও করে রাখলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত সেখানে পৌঁছে হায়দারকে আটক করে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। আতঙ্কে বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। পরে দেপাড়া বাজার থেকে বিএনপির আরও দুজনকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

নিহত শওকাত হোসেনের ভাই বিএনপি নেতা লিয়াকত হোসেনের বলেন, ‘ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আফজাল হাওলাদারের নেতৃত্বে গত ১১ ফেব্রুয়ারি একদল সন্ত্রাসী আমাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসার অবস্থায় নয়দিন পর আমার ভাই শওকাত মারা গেল। আমি এর সঠিক বিচার চাই। ’

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে কচুয়া, বাগেরহাট সদর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে রয়েছে। পরিস্থিতি এখনও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আফজাল গ্রুপের সদস্য হায়দার আলীকে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। বাগেরহাট সদর থানা পুলিশ আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ব্যাপারে পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।