ঢাকা: আইনজীবীদের নেতৃত্বে ‘জনতার বাংলাদেশ পার্টি’ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মাচ) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটি আত্মপ্রকাশ করে।

আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে অ্যাডভোকেট মো. সফিকুল ইসলাম সবুজ খানকে চেয়ারম্যান ও অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামকে মহাসচিব করে ‘জনতার বাংলাদেশ পার্টি’র ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

ঘোষিত কমিটিতে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পদে অ্যাডভোকেট নিয়ামুল হক তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট জাহিদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ আল নাকিব, দপ্তর সম্পাদক সালেহীন ভূঁইয়া মুকুল, অর্থ সম্পাদক পদে আলমগীর হোসেনের নাম ঘোষণা করা হয়।

আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে ‘জনতার বাংলাদেশ পার্টি’র মহাসচিব অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, সারা বিশ্ব যখন আইনজীবীরা নেতৃত্ব দিচ্ছে, যোগ্যতা ওও মেধার তীব্র প্রতিযোগিতা হচ্ছে, রাষ্ট্র প্রধান হচ্ছে, তখন বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকার কারণে জুলাই- ২০২৪ বিপ্লবের তারুণ্যে জাগরণে উচ্ছ্বাসিত হয়ে একঝাঁক আইনজীবীদের উদ্যোগে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাজনৈতিক দল গঠনে প্রলুব্দ হয়ে সততা, নীতি, আদর্শ ও ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে আইনজীবীরা দেশের পক্ষে, মানুষের পক্ষে দাঁড়াবে। সত্যকে সত্য বলবে, মিথ্যার বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নেবে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও যানজট নিরসনে ও দেশের বেকারত্ব দূরীকরণে কার্যকরী ভূমিকা নিয়ে কথা বলবে। কৃষক, শ্রমিক সব পেশাজীবী মানুষের  পক্ষে এবং মানবিক বাংলাদেশ গড়তে কথা বলবে।

দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. সফিকুল ইসলাম সবুজ খান বলেন, আজ জনতার বাংলাদেশ পার্টির জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। আজ এর আনুষ্ঠানিক বীজ রোপণ করা হলো। একদিন তা ফুলে ফুলে ছেয়ে যাবে পুরো দেশ। তার সৌরভ উপলব্ধি করবে মানুষ। তার মূল উদ্দেশ্য একটি সুস্থ, সুন্দর, মানবিক ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আজন্ম বিপ্লবী ভূমিকায় থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা আগামী নির্বাচনে যদি নিবন্ধন লাভ করি তাহলে ২০০ আসনে আইনজীবী প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাকি ১০০ আসন হবে অন্যান্য পেশাজীবীর। দেশের রাজনীতিতে নির্মূল হোক টাকার প্রভাব। সততা আর যোগ্যতা হোক প্রশংসিত। ফিরে আসুক সত্যের উদ্ভাসিত সূর্য ও তারুণ্যের জয়গান।

আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে দলটির পক্ষ থেকে ২০ দফা ঘোষণা করা হয়। সেগুলো হলো- যানজট নিরসন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মাদকদ্রব্য নির্মূল, সুশিক্ষা বা নৈতিক শিক্ষার প্রসার, দুর্নীতি রোধ, মানবাধিকার সুরক্ষা ও নাগরিক হিসাবে সর্বোচ্চ জীবনযাপন, বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, নিরাপদ বাসযোগ্য ভূমি, রাজনীতিতে টাকার প্রভাব ও পেশিশক্তি কমিয়ে মেধাবিদের অগ্রাধিকার, মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করা, রাজনীতিতে টাকার প্রভাব ও পেশিশক্তি কমিয়ে মেধাবীদের অগ্রাধিকার, মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করা, কৃষিকে উৎসাহিত করা বা কৃষি বিপ্লব ঘটানো, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও সুস্থ মালিক সম্পর্ক বৃদ্ধি, ইসলামী ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিয়ে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, জনসংখ্যাকে প্রকৃত মানব সম্পদে রূপান্তরিত করা, দেশকে উৎপাদনমুখী করা, প্রশাসনকে শক্ত করে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়া, দেশেল স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখা।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন দলটির সহ-সভাপতি মো. আলী হোসেন, মো. আব্দুল মালেক, আব্দুল করিম চৌধুরী লেলিন, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. মো. ফুয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান ও আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. বিল্লাল হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৫
এসসি/জেএইচ