আগামী জাতীয় নির্বাচন কবে হবে, ডিসেম্বর না জুন- তা স্পষ্ট করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে খুলনায় বিএনপির সদস্য নবায়ন ও সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
এতে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কিছু কিছু পত্র-পত্রিকা, সুশীল-বুদ্ধিজীবী ষড়যন্ত্র করে ওয়ান-ইলেভেন সৃষ্টি করেছিল। এক-এগারোর কুশীলবরা এই সরকারের ঘাড়ে চেপে বসেছে এবং বিরাজনীতিকরণের চক্রান্ত করছে বলে আমার ধারণা। তারা সদ্য ভূমিষ্ঠ একটি দলকে গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু বিএনপিকে ক্ষমতায় যেতে দেবে না বলে পণ করেছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল নয়। কিন্তু জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।
বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, সেনা সদরে সভা হয়েছে, এরপর সেনাপ্রধান আংশিক প্রকাশ করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে বলেছেন। তিনি রাষ্ট্র দখল, সরকার দখল, ক্ষমতা দখলের কথা বলেন নাই। সেন্টমার্টিন, ট্রানজিট, মানবিক করিডোর- ইত্যাদি সেনসেটিভ ইস্যুতে নির্বাচিত সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার সংসদের মাধ্যমে হতে পারে। হাসিনা ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিল, তখন তো সেনাবাহিনীকে এভাবে কথা বলতে হয় নাই।
তিনি বলেন, আগে এক রকম ষড়যন্ত্র ছিল, এখন ষড়যন্ত্রের রূপ ভিন্ন রকম। কিন্তু ষড়যন্ত্র কিন্তু থামে নাই। ৫ আগস্টের আগে আমরা একত্রিত হয়েছিলাম। কিন্তু এখন মতামত ভিন্ন। আমার আগে জাতীয় নির্বাচন চাই, কেউ চায় আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচন হোক, এটাই আমাদের দাবি।
গয়েশ্বর রায় বলেন, হাসিনা যদি দিল্লিতে পালিয়ে থেকে নির্বাচন করে, আর জনগণ তাকে ভোট দেয়, আমি তাকে মেনে নেব। কারণ এটা জনগণের রায়।
জামায়াতে ইসলামী সমালোচনা করে কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, তারা ট্রাভেল এজেন্সি খুলে বসে মানুষকে বেহেশতের টিকিট দিচ্ছে। কিন্তু নিজেরা বেহেশতে যেতে পারবে কিনা সন্দেহ!
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটিসহ সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা, বাগেরহাট জেলা আহ্বায়ক ইঞ্জি. আকরাম হোসেন তালিম, সদস্য সচিব মোজাফফর আলম, সাতক্ষীরা জেলা আহ্বায়ক রহমত উল্লাহ পলাশ, সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, যশোর জেলা সভাপতি সাবিরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, নড়াইল জেলা সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলার আহ্বায়ক এম এ মজিদ, কুষ্টিয়া জেলার সদস্য সচিব ইঞ্জি. জাকির হোসেন সরকার, মেহেরপুর জেলার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম, সদস্য সচিব অ্যাড. কামরুল ইসলাম, মাগুরার আহ্বায়ক আলী আহমেদ, সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন, খুলনা জেলার আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু।
পরে ৫ জন তরুণ সদস্যের ফরম পূরণের মধ্যদিয়ে খুলনা বিভাগীয় সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
এমআরএম/এসএএইচ