ঢাকা: জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, দলীয় স্বার্থে নয়, জাতীয় স্বার্থে জামায়াতে ইসলামী সমাবেশের ডাক দিয়েছে।
তিনি বলেছেন, দলীয় স্বার্থে যদি জামায়াতে ইসলামী সমাবেশ করতো, তাহলে এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে করতে পারত; দলের নিবন্ধন ফেরতের দাবিতে করতে পারত।
বুধবার রাতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চকবাজার-বংশাল জোনের ওয়ার্ড দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এ কথা বলেন।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আসন্ন ১৯ জুলাই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাত দফা দাবিতের জামায়াতে ইসলামী যেই সমাবেশের ডাক দিয়েছে তার একটি দাবিও জামায়াতে ইসলামীর দলীয় স্বার্থে নয়। বরং প্রতিটি দাবি জাতীয় স্বার্থে।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং চকবাজার-বংশাল জোনের সহকারী পরিচালক এস এম আহসান উল্লাহ’র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জোনের টিম সদস্য শেখ আবুল কাশেম, বংশাল দক্ষিণ থানা আমির মো. মাহাবুব আলম ভূঁইয়া, চকবাজার দক্ষিণ থানা আমির মো. আনিছুর রহমান, কোতোয়ালি থানা আমির মো. মতিউর রহমান, বংশাল উত্তর থানা আমির মাওলানা বিলাল হুসাইন, বংশাল পূর্ব থানা আমির মাওলানা তাজুল ইসলাম, চকবাজার উত্তর থানা আমির মাওলানা মাহফুজুর রহমান, চকবাজার পূর্ব থানা আমির মো. রফিকুল ইসলাম, চকবাজার পশ্চিম থানা আমির মো. আবুল হোসেন রাজন। এছাড়া সব থানা সেক্রেটারিসহ দায়িত্বশীল নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তারা বিগত ১৭ বছর আন্দোলন করেছে, তারা কি শেখ হাসিনা মার্কা নির্বাচন করে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায় প্রশ্ন রেখে ড. মাসুদ বলেন, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই আগে রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার করতে হবে, গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রবাসীদের ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রবাসীরা জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রবাসীরা শুধু অর্থ দিয়ে, বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে নয় বরং তাদের পুরো পরিবার দেশে জিম্মি থাকার পরও প্রবাসীরা বিদেশের মাটিতে বসে জীবন বাজি রেখে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। তাই প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
পিআর পদ্ধতির নির্বাচনে কেউ একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে পারবে না উল্লেখ করে ড. মাসুদ বলেন, এজন্যই পিআর পদ্ধতির নির্বাচনে কেউ কেউ আপত্তি জানাচ্ছে। তারা চাচ্ছে কোনো মতে একবার ক্ষমতায় বসতে পারলে হাসিনার চেয়েও ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের মাধ্যমে পরিবারতন্ত্রের রাজনীতিকে রাজতন্ত্রে রূপ দিতে। এজন্য তাদের সংস্কারে আপত্তি, পিআর পদ্ধতির নির্বাচনে আপত্তি, দুই মেয়াদের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না প্রস্তাবেও আপত্তি। তারা তাদের নিজেদের মতো করে সংস্কার চায়। যাতে করে শেখ হাসিনার মতো ক্ষমতায় বসে, নিজেদের মতো করে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারে। তাই দলীয় স্বার্থ পরিহার করে দেশ ও জাতির স্বার্থের রাজনীতি করতে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানাই।
টিএস/এসআরএস