ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বাঙালি জাতির পরিচয় বঙ্গবন্ধু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৫
বাঙালি জাতির পরিচয় বঙ্গবন্ধু ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী / ফাইল ফটো

ঢাকা: নিপীড়ন-বঞ্চনা থেকে মুক্তি, অধিকার আদায় এবং বাঙালি ও বাংলাকে গভীর ভালোবাসাই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের মূল দর্শন। তার এ দর্শনই বাঙালি জাতির পরিচয়।

বঙ্গবন্ধুই বাঙালির পরিচয়।   

রোববার (৩০ আগস্ট) রাতে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বঙ্গবন্ধুর চল্লিশতম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি।
 
সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান।
 
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মান্নান। স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাউসার।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকার গোপালগঞ্জ সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাঙালির গণজাগরণের পথিকৃত বঙ্গবন্ধু। ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও বাঙালির স্বাধীনতা-স্বাধিকারের কথা বলেছেন এই মহান নেতা।

নিপীড়িত-বঞ্চিত মানুষের নেতা শেখ মুজিবের দর্শন কী ছিল তা আমাদের জানতে হবে। তার জীবনের দর্শন ছিল স্বদেশপ্রেম ও বাঙালির প্রতি ভালোবাসা। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল তার দর্শন। তিনি নিজে বলেছেন, আমার জীবনের একমাত্র দর্শন মানুষ যেন খাবার পায়, অধিকার পায়।

স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু কৃষি বিপ্লব ঘটাতে চেয়েছিলেন। আজ তার কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, জিয়া-মোশতাক শেখ মুজিবকে হত্যা করিয়েছিল। হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা ছিলেন তাদের বিচার হয়নি। তাদের বিচার করতে কমিশন করা দরকার।

সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত থাকলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া যায়নি। কারণ, মৃত ব্যক্তির নামে অভিযোগপত্র দেওয়ার আইন নেই। তবে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ার সময় এসেছে। তার বিচার করার সময় এসেছে।

১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে (শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছাড়া) হত্যা করেছেন খুনিরা। আর তার যথাযথ সমর্থন দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা নয় স্বাধীনতাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন তারা। বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে যারা ছিলেন, তাদের বিচারের জন্য কমিশন গঠন করতে হবে, তাদের বিচার করতে হবে।

জিয়াউর রহমানই দেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছেন মন্তব্য করে শেখ সেলিম বলেন, যদি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা না হতো তাহলে নেলসন ম্যান্ডেলার দক্ষিণ আফ্রিকা ও মাহাথিরের মালয়েশিয়ার চেয়ে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আরো বেশি এগিয়ে যেতো।   

শেখ সেলিম বলেন, ক্ষমতায় এসে খালেদা জিয়া ও তার ছেলে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যা করতে চেয়েছিলেন ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট। যদি একটি খুনের দায়ে পাকিস্তানের ভুট্টোর ফাঁসি হয়, তাহলে ২১ আগস্ট ২৪ খুনের দায়ে কেন খালেদার বিচার হবে না?

আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে শেখ সেলিম বলেন, যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেন, তাহলে ভোগের রাজনীতি করবেন না।  

সভাপতির বক্তব্যে শেখ কবির হোসেন বলেন, বিশ্বের কাছে বাঙালির জাতিসত্তার পরিচয় দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। তার জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু।

তিনি বলেন, মরণোত্তর পুরস্কার যদি দেওয়ার বিধান থাকে, তাহলে মরণোত্তর বিচারের কেন ব্যবস্থা থাকবে না? এ বিধান করে বঙ্গবন্ধুর খুনের নেপথ্য ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার করতে হবে।    

বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৫
এসএমএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।