ঢাকা: বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে কর্মসূচি নির্ধারণের জন্য ডাকা ২০ দলীয় জোটের বৈঠক কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে।
রোববার (৩০ আগস্ট) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির চেয়াপারসন খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জোট নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতের জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, খেলাফত মজলিশের চেয়ারম্যান মাওলানা মোহম্মদ ইসহাক, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, এলডিপির চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহম্মদ ইব্রাহীম, জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান সাইয়েদুল হাসান ইকবাল, পিপল পার্টির চেয়ারম্যান গরীবে নেওয়াজ, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ প্রমুখ।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে জোটের বেশ কয়েকটি শরিক দল জেলায় জেলায় বিক্ষোভ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর স্মারকলিপি প্রদানসহ মাঝারি ধরনের কর্মসূচি দেওয়ার জন্য জোট নেতা খালেদা জিয়াকে অনুরোধ করেন।
কিন্তু রাজনৈতিকভাবে প্রচণ্ড চাপে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত জোট শরিকদের জানাননি। বরং কর্মসূচির ব্যাপারে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী বাংলানিউজকে বলেন, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ সভা ও স্মারকলিপি প্রদানসহ প্রচলিত কর্মসূচির কথাই জোট শরিকরা বলেছিল। জোট নেতা বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছেন। তিনি এখন দলের স্থায়ী কমিটির সঙ্গে বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি বাংলানিউজকে বলেন, জোটের প্রায় সব শরিক কর্মসূচির ব্যাপারে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন জোট নেতা খালেদা জিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৫
এজেড/বিএস