জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি): জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগ এনে চড় মেরে এক ছাত্রের কানের পর্দা ফাটিয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগকর্মীরা।
রোববার (৩০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন মারধরের শিকার ওই ছাত্র।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৯ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল থেকে ৪৩তম ব্যাচের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র মো. আরাফাত হোসেন, গণিত বিভাগের প্রশান্ত এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ছাত্র সৌরভ বসুর মোবাইল ফোন চুরি হয়ে যায়। এদের মধ্যে সৌরভ ছাত্রলীগের কর্মী।
নিজের মোবাইল চুরি হওয়ায় আরাফাত তার বন্ধু নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগকর্মী জামিনুর রহমানের মোবাইল ব্যবহার করে বাবাকে বিষয়টি জানান।
এরপর আরাফাতকেই সন্দেহ করে ২৩ আগস্ট রাতে হলের ১২৯ নম্বর কক্ষে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন জামিনুর ও তার সহযোগী ছাত্রলীগকর্মী ফিরোজ ও ওয়াদুদ হাসান। এক পর্যায়ে আরাফাতকে মারধর করেন তারা। এরপর হলের ছাদে নিয়েও তাকে মারধর করা হয়। এসময় বেশ কয়েকবার চড়-থাপ্পড় দেন দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ফিরোজ মাহমুদ।
আরাফাত বাংলানিউজকে বলেন, কানের ব্যথা নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) আমি বারডেম জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তার দেখাই। ডাক্তার আমার দুই কানের পর্দা ফেটে গেছে বলে জানান।
তিনি বলেন, আমি মোবাইল ফোন চুরি করিনি। অন্যায়ভাবে তারা আমাকে মারধর করেছে।
যোগাযোগ করা হলে আরাফাতকে মারধরের কথা স্বীকার করেন ছাত্রলীগকর্মী জামিনুর রহমান। তিনি বলেন, বিষয়টি সমাধান করতে গিয়ে রাগের মাথায় আরাফাতকে কয়েকটা চড়-থাপ্পড় দিয়েছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ঘটনাটি শোনার পর আমি তাদের শাসন করেছি। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বাংলানিউজকে বলেন, আরাফাত লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৫
এমএ/এইচএ