ঢাকা: ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারে সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। এই সময়ের মধ্যে বর্ধিতমূল্য প্রত্যাহার না করলে দুর্বার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠন দুটির নেতারা।
সোমবার সকালে (৩১ আগস্ট) রাজধানীর তোপখানা রোডে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সিপিবি-বাসদের নেতারা এ হুঁশিয়ারি দেন।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে রওনা হয় সিপিবি-বাসদ। তবে সচিবালয়ের ৫নং গেটের সামনে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। সেখানেই অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সিপিবি-বাসদ।
সমাবেশে বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, আমরা জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছি। কিন্তু তারা আলোচনা করতে চায়নি। এরপর আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে চেয়েছি, তাতেও পুলিশি বাঁধা আসছে।
তিনি বলেন, স্বেচ্ছাচারী কায়দায় জনগণের টাকা লুটপাট করে মন্ত্রী, আমলাদের পকেট ভারী করতেই মূল্যবৃদ্ধি করেছে সরকার। আমরা সরকারকে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দিলাম। যদি এর মধ্যে বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করে মূল্য আরও কমানো না হয়, তাহলে সারাদেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ৩ ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে। অথচ কোন কারণ ছাড়াই সরকার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। মহাজোটের শরীক অনেক দলও ইতোমধ্যে এর বিরোধিতা করেছে। তবুও সরকার তা কানে তুলছে না।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জনগণের প্রতিনিধি হয়ে আমরা আলোচনা করতে চেয়েছি। আপনি কেন জনগণকে এত ভয় পান। অযৌক্তিক মূল্য প্রত্যাহার না করলে জনগণের হাত থেকে আপনি রেহাই পাবেন না।
বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, বিইআরসি’র ৭ ধারার উপধারা (১) বলা আছে, গণশুনানির ৯০ দিনের মধ্যে বর্ধিত মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। কিন্তু ৯০ দিনের পর এ মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে বিইআরসি নিজেই নিজের আইন লঙ্ঘন করেছে।
তিনি বলেন, আইনের ২ উপধারায় বলা আছে, বিদ্যুৎ ও গ্যাস কোম্পানি মুনাফা লাভ করলে মূল্যবৃদ্ধি নয়, কমানো যাবে। কিন্তু দেশের সব বিদ্যুৎ ও গ্যাস কোম্পানি অতিরিক্ত মুনাফা করেছে। তবুও কেন এবং কার স্বার্থে বিইআরসি মূল্যবৃদ্ধির সুপারিশ করেছে? বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করা না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশের প্রান্তে প্রান্তে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
কর্মসূচিতে সিপিবির কেন্দ্রীয় সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদ কেন্দ্রীয় সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৫
আরইউ/এসইউজে/আরআই