ঢাকা: নিজ দলের সংসদ সদস্যের বিরোধে নোয়াখালীর উন্নয়ন ভাটা পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আয়েশা ফেরদাউস।
নোয়াখালী-৬ আসনের সরকার দলীয় এ সংসদ সদস্যের অভিযোগ, তাকে হেনস্তা করতে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ব্যবহার করছেন তার আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমকে।
এভাবে অন্তর্দ্বন্দ্বে জড়িয়ে এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে মন নেই এমপিদের- এমন অভিযোগও করেন আয়েশা ফেরদাউস।
সোমবার (০৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন আয়েশা ফেরদাউস।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার স্বামী মোহাম্মদ আলী নোয়াখালী-৬ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ব্যাংক ঋণের কারণে তিনি নির্বাচন করতে না পারায় আমি নির্বাচন করি। কিন্তু তখন আমার বিরোধিতা করেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ফজলুল আজিম। নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি করে আমাকে পরাজিত করা হয়। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হলে আমার পক্ষে রায় আসে। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে নোয়াখালী থেকে একমাত্র আমি নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে আসি। তখন থেকেই ফজলুল আজিম আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচারে নামেন।
ফজলুল আজিমের এ কাজে সহযোগিতা করছেন নোয়াখালী-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। তার ছত্রছায়ায় ফজলুল আজিম আমার স্বামী মোহাম্মদ আলীকে ডাকতদের গডফাদার বানানোর চেষ্টা করছেন। অথচ ফজলুল আজিম নিজেই বিভিন্ন ডাকাতি, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা মামলায় জড়িত। এমনি একরামুল করিমের সহায়তায় ফজলুল আজিম তার লোকদের দিয়ে এলাকার বহু নিরীহ নেতাকর্মীকে মামলা-হামলা করে বাড়িছাড়া করেছেন। এখন আমার পরিবারের সদস্যদের নানা রকম হুমকি, হয়রানি দেখাচ্ছে।
বিষয়টি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জানানো হয়েছে বলে দাবি করে আয়েশা ফেরদাউস বলেন, নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর বিষয়টি দলীয় ফোরামে তোলা হলেও নেত্রীর কাছে জানানো হয়নি।
সরকার দলীয় এ সংসদ সদস্য বলেন, সরকার দলীয় এমপি হয়ে একরামুল করিম চৌধুরী কিভাবে একজন বিএনপি-জামায়াতের আশীর্বাদপুষ্ট সাবেক এমপির সঙ্গে হাত মেলান, যার হাতে আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী হত্যার দাগ রয়েছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে সর্বোচ্চ মহলের সহযোগিতা চান এমপি আয়েশা ফেরদাউস।
ফজুলল আজিম তার অনুগত একজন সাংবাদিককে দিয়ে জাতীয় দৈনিকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন ছাপিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ওই সাংবাদিক আমার সঙ্গে কথা না বলেই পত্রিকায় আমাকে উদ্ধৃত করে সংবাদ করেছেন। এর প্রতিবাদ পাঠালেও তারা প্রকাশ করেনি। ফজলুল আজিম ও একরামুল করিম চৌধুরী যৌথভাবে আমার এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ভাগিদার হতে চান। তারা কমিশন চান। তা দেওয়া হয়নি বলেই আমার বিরুদ্ধে উঠে-পড়ে লেগেছ।
এ থেকে পরিত্রাণে সত্য ঘটনা প্রকাশের জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান আয়েশা ফেরদাউস।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৫
এসএম/এএসআর