ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

পবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১২

পবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৫
পবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১২

পবিপ্রবি(পটুয়াখালী): রোববার রাতে বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পর সোমবার সকালে ফের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ সময় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

 

এর আগে রোববার রাতে বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর, ছাত্রলীগ সভাপতিসহ কমপক্ষে ১২জন আহত হয়।

সংঘর্ষের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা ও এম কেরামত আলী হলের বেশ কয়েকটি কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে (বরিশাল-ক্যাম্পাস) সিটে বসাকে কেন্দ্র করে খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞানের আষ্টম সেমিস্টারের কামরুল ইসলামের সঙ্গে বিবিএ এর অষ্টম সেমিস্টারের মেহেদী হাসান উজ্জলের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এর জেরে ছাত্রলীগ নেতা কামরুল ইসলামের অনুসারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়বাংলার চত্বরে মেহেদী হাসান উজ্জল ও তার বন্ধু রাতুল খানকে মারধর করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উজ্জল ও রাতুলের অনুসারীরা একত্রিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এম কেরামত আলী হল থেকে লঠিসোটা নিয়ে শেরে-ই-বাংলা হলের বিভিন্ন কক্ষে ভাঙচুর চালায়। এ সময় তারা কামরুল অনুসারীদের কয়েকজনকে মারধর করলে সংঘর্ষ বেধে যায়।

রাত ১১টার পর দফায় দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকে। রাত ২টার দিকে  দুমকি থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

রাতে পরিস্থিতি কিছুটা থমথমে থাকার পর সোমবার সকালে পুলিশের উপস্থিতিতে ফের সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপ। এ সময় এম কেরামত আলী হলের বিভিন্ন কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় ছাত্রলীগ।

পরে সোমবার ১১টার দিকে ক্যাম্পাসে র‌্যাব প্রবেশ করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। দফায় দফায় সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সন্তোষ কুমার বোস, ছাত্রলীগ সভাপতি আনিসুজ্জামান আনিস, ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মার্শাল অভি, এম কেরামত আলী হল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাইমিনুল ইসলামসহ কমপক্ষে ১২জন আহত হয়।

সংঘর্ষে গুরুত্বর আহত মোহাইমিনুল, তানিম, অভি, তাজিন ও মুন্নাকে বিশ্ববিদ্যালয় হেলথ কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় ক্যাম্পাসে পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন রয়েছে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হান আহম্মেদ রিমন বলেন, বাসে সিটে বসাকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালী ও বরিশাল কোরামের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ জড়িত নয়। প্রশাসন ও ছাত্রলীগ উভয় পক্ষের ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছে।

দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযম ফারুকী বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরবর্তীতে সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সন্তোষ কুমার বোস বলেন, দুই পক্ষের কয়েকজন কর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। অনাকাঙ্কিত ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন রয়েছে। সংঘর্ষের বিষয়টি তদন্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।