ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘জিয়াই বঙ্গবন্ধুর খুনি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৬
‘জিয়াই বঙ্গবন্ধুর খুনি’ ছবি: শাকিল-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনের প্রত্যক্ষ নেতৃত্বদানকারী বলে অভিযুক্ত করে মেজর জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

রোববার (১৪ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাত বার্ষিকীতে ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ দাবি জানান তিনি।

আলোচনা সভাটির আয়োজন করে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম ‘মুক্তিযুদ্ধ ৭১’।

জিয়াই বঙ্গবন্ধুর খুনি বলে অভিযোগ করে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিলো। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানের ভূমিকা কি ছিলো, সেদিন তিনি কি কি করেছিলেন? আজ সময় এসেছে জাতির সামনে সেই অপকর্মগুলো তুলে ধরার। এবং মাস্টারমাইন্ড যারা আছেন তাদেরও বিচার করার। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, আজও আমরা পারিনি সেই ঘাতকদের বিচার করতে’।

তিনি আরো বলেন, ‘যেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিলো সেদিন রাতে পাকিস্তান ও আমেরিকার দূতাবাস খোলা ছিলো। তাই এ হত্যাকাণ্ড যে পূর্বপরিকল্পিত সেটা আজ প্রমাণিত। এছাড়া বিভিন্ন দেশে আজ বঙ্গবন্ধুর খুনিরা আত্মগোপন করে আছেন। তাদেরকে সেই সব দেশে থেকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে’।

‘এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার কার্যক্রম শুরু করেছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর বিচার শেষ এবং তাদের দণ্ড কার্যকরও হয়েছে’।

তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া জাতির জনকের মৃত্যুবার্ষিকীর দিন জন্মদিন পালন করেন। কিন্তু আপনারা হয়তো জানেন, তার বিয়ের সার্টিফিকেটে একটা, পাসপোর্টে একটা, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দলিলে একটা ও জন্ম নিবন্ধনে আর একটা জন্ম তারিখ দেওয়া আছে। তাই এ জন্মদিন পালন করা থেকে খালেদা জিয়াকে বিরত থাকতে হবে। আর যদি জন্মদিন পালনই করতেই হয় তাহলে অন্য কোনো দিনে করেন’।

সংগঠনের সভাপতি সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) কে এম শফিউল্লাহ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার সময় সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে থাকার পরও সেদিন আমি কিছুই করতে পারিনি। আমার অফিসে সেদিন জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোস্তাক গিয়ে আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তখন আমি ‍নিরুপায় ছিলাম। আমার পক্ষে কোনো কিছুই করার ছিলো না। পরবর্তীতে আমাকে চাকরি থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়’।

তিনি আরো বলেন, ‘তখন কিছু করতে না পারার যন্ত্রণা আমি এখনো অনুভব করি। কিন্তু তখন আমাকে একপ্রকার বন্দি করে রাখা হয়েছিলো। এবং আমাকে বলা হয়েছিলো, আমি যেন বাসা থেকে বের না হই। যদি কথার কোনো নড়চড় হয়, তাহলে তারা আমাকেও হত্যার হুমকি দেন’।

আলোচনা সভায় অংশ নেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাড. কামরুল ইসলাম, সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) মো. আবু ওসমান চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাক্ষী মেজর জিয়াউদ্দিন প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৬
এসজে/এএসআর

** জিয়া মুক্তিযোদ্ধা নন, বললেন কামরুল

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।