এতে ছাত্রলীগের ৩ কর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় ৪টি মোটরসাইকেলও ভাংচুর করা হয়।
প্রতিবাদে নগরীর আমতলার মোড়ে সড়ক অবরোধ করে জসীম উদ্দিনের সর্মথকরা বিক্ষোভ করে ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের পোস্টার ছিড়ে ফেলে।
পরে পুলিশের দেওয়া হামলাকারীদের আটকের আশ্বাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি তুলে নেওয়া হয়।
এদিকে আহত ছাত্রলীগের কর্মী নগরীর ২৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. মোশারেফ সিকদারের ছেলে আরিফুর রহমান ইয়াদ (২৭), একই ওয়ার্ডে বাসিন্দা মাহাবুব আলম সানি (২৫) ও ২৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলী আকবর খানের ছেলে ফয়সাল হোসেন খানকে (২৪) বরিশাল-শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং আহত ছাত্রলীগ কর্মী আরিফুর রহমান ইয়াদ বলেন, রাতে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বরিশাল ক্লাবে যান। এজন্য সমর্থক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেল নিয়ে ক্লাবের সামনে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ করে ১০/১৫টি মোটরসাইকেলে আসা মুখোশধারী একদল দুর্বত্ত তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় সঙ্গে হাতে থাকা হকিস্টিকের আঘাতে তিনিসহ ৩ জন গুরুতর আহত হন।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ বরিশাল মহানগর শাখার সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ব্যক্তিগত কাজে বরিশাল ক্লাবে গিয়েছিলাম। এসময় আমার নেতাকর্মীরা বাইরে অবস্থান করছিলো। ঠিক সেই মুহূর্তে একদল সন্ত্রাসী তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলার সময় আমাকে উদ্দেশ্য করে কর্মীদের বরিশাল ছেড়ে যেতে বলা হয়। এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেবেন বলেও জানান জসিম উদ্দিন।
এদিকে ঘটনার পর কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন এবং পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমানসহ পুলিশেল একাধিক টিম ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান।
ওসি জানান, কারা হামলা চালিয়েছে সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা সম্ভব হয়নি। মামলা বা অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬
এমএস/জেডএস