ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৭
শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে সেতুমন্ত্রী-ছবি: বাংলানিউজ

মেহেরপুর: পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ, মুক্তিযোদ্ধা ও গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হলে মুজিব কন্যা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে শেখ হাসিনা মঞ্চে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, যারা ১৭ এপ্রিল পালন করেন না, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিশ্বাস করেন কিনা আমার সন্দেহ আছে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, যারা লালন করেন, ১৭ এপ্রিলে বিপ্লবী সরকারের সেই চেতনাকেও তাদের বিশ্বাস করতে হবে।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, তাদের (বিএনপি) কাছে আজ কোনো চেতনা নেই, মূল্যবোধ নেই, তাদের কাছে কোনো সৌজন্য বোধ নেই। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়। এটা শেখ হাসিনার অবদান। বিশ্বের ১০ জন বড় নেতার মধ্যে একজন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, বিএনপির এখন ইস্যু তৈরির কারখানা। একটার পর একটা ইস্যু দেয় তারা, তারপরও আন্দোলনে ব্যর্থ। নির্বাচনে তারা নিজেরাই ভুল করে যায়নি। চোরাবালিতে আটকে গেছে। পেট্রোল দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে জনগণের কাছ থেকে শুধু ঘৃণা পেয়েছে। তাদের এখন আর কিছুই করার নেই।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি একেকবার একেক ধরনের তাল করে। তাদের আন্দোলন জনগণের কোনো কাজে আসে না। তাদের ইস্যু মাঠে মারা যায়। এ বছর না ওই বছর আসলে তারা আন্দোলন করবে কোন বছর। তারা আন্দোলনের ডাক দিলে মানুষ ভাবে এটা আষাঢ়ের গর্জন।

তিনি বিএনপির প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, মানুষ সাড়া না দিলে আন্দোলন কিসের? আন্দোলনের ডাক দিয়ে তারা ঘরে বসে হিন্দি সিরিয়াল দেখে। ৫৯৬ জনের কমিটির মধ্যে ৫০ জনও তো মাঠে থাকতে পারে। তাও থাকে না।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি শেষ ইউপি নির্বাচনে ৯০ ভাগ জয় লাভ করার কথা উল্লেখ করে বলেন, এ অবস্থা আওয়ামী লীগের সব সময় থাকবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মেহেরপুর আওয়ামী লীগের মধ্যে মনে হয় ফার্মের মুরগি ঢুকে গেছে। দেশি মুরগি দরকার। বাইরে দেখি এক চেহারা বিলবোর্ডে আরেক চেহারা। এটা ডিজিটাল বাংলাদেশ। একেক জনের চেহারা একেক রকম। শান্তিতে থাকুন। তবে আওয়ামী লীগের নাম বেঁচে কেউ অপকর্ম করলে বিলবোর্ডে নাম দিলেও সহ্য করা হবে না। আওয়ামী লীগের নামে অপকর্ম চলবে না। রোববারের নির্বাচন প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ পরাজিত করতে পারবে না।  

এসময় অন্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দীন খান এমপি, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি আলী আজগর টগর, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আযাদ, মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রসুল, মাগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমাম হোসেন মিলু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক আইয়ূব হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ১৭ এপ্রিল, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।