ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি এজেন্ট ছিলেন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৭
জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি এজেন্ট ছিলেন

মেহেরপুর: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি এখন নিজেদের মুক্তিযোদ্ধার দল হিসেবে দাবি করে। আমার প্রশ্ন, তারা কোন মুক্তিযোদ্ধার দল? জিয়াউর রহমানের? জিয়াউর রহমান প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি ছিলেন পাকিস্তানি এজেন্ট।

পাকিস্তানিদের এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের কর্নেল আসলাম বেগ তাকে এক চিঠিতে লিখেছিলেন, জিয়াউর রহমান আমরা তোমার প্রতি খুশি।

তুমি তোমার কাজ চালিয়ে যাও। তোমার স্ত্রী-পুত্র সেনা ক্যাম্পে ভালো আছে।

হানিফের প্রশ্ন, আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা প্রাণপণে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়েছেন, যারা আমাদের দেখা মাত্র গুলি করে হত্যা করেছে। জিয়াউর রহমানের কোন কাজের কারণে পাকিস্তানি সেনা প্রধানরা একজন মুক্তিযোদ্ধার প্রতি খুশি হন? এ চিঠির মাধ্যমেই প্রমাণ হয় তিনি ওইসময় পাকিস্তানি এজেন্ট ছিলেন।

জিয়াউর রহমান একজন এজেন্ট ও চর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তার প্রমাণ, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর তিনি রাজাকারদের প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তাদের হাতে বাংলাদেশের পতাকা তুলে দিয়ে প্রমাণ করেছিলেন।

জাতির পিতা আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন দারিদ্রমুক্ত অসম্প্রদায়িক দেশ গড়ার। আমাদের স্বাধীনতা আমাদের অহংকার। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গৌরব। এ স্বাধীনতা একদিনে অর্জিত হয়নি।

এ স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘদিন লড়াই সংগ্রাম করতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধাপে ধাপে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করেই ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরের মুজিবনগরে শেখ হাসিনা মঞ্চে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন হানিফ।

এসময় তিনি আরো বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের দেশের মানুষের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। আমাদের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার ডাকে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। নয় মাস যুদ্ধের পর স্বাধীনতা পেয়েছিলাম।

১৯৭০ সালের ১০ এপ্রিল প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠিত হয় এবং ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরেই সে বিপ্লবী সরকারের শপথ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এটি বাঙালি জাতি ও স্বাধীনতার জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে, মাতৃভূমিকে বিশ্বাস করে, মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করে তারা অবশ্যই শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে এ দিনটিকে।

১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর রাজাকার, আলবদরদের প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে। কুখ্যাত রাজাকার গোলাম আযমকে বিদেশ থেকে এনে এ দেশে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন তিনি। রাজাকারদের হাতে পতাকা তুলে দিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং ৩০ লাখ শহীদের অবমাননা করেন তিনি।

স্বাধীনতার দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেছে। বিএনপি-জামায়াত বিভিন্ন সময়ে দেশের ক্ষমতায় থেকে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানিয়েছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিগত আট বছরে এদেশকে একটি উন্নয়শীল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন করে গোটা দেশকে আজ বিশ্বের কাছে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যোগ করেন হানিফ।

একাত্তরের প্রেত্মাতা বিএনপি-জামায়াত উন্নয়নের বড় বাধা। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ২০২১ সালের বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিএনপি-জামায়াতের অপতৎপরতা রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৭
আরবি/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।