ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ঈদগাহের সামনে ভাস্কর্য স্থাপন সুচিন্তিত হয়নি

পলিটিক্যাল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
ঈদগাহের সামনে ভাস্কর্য স্থাপন সুচিন্তিত হয়নি

ঢাকা: সরকারকে সম্পূর্ণ অগোচরে রেখে জাতীয় ঈদগাহের সামনে গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য স্থাপন করা সুচিন্তিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের ৫৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তিন নেতার মাজার প্রাঙ্গণে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ ও যুক্তফ্রন্ট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মূলনীতি হলো অসাম্প্রদায়িকতা।

কিন্তু দেশের কোটি কোটি মুসলমানের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে যেমন মসজিদের সামনে ভাস্কর্য স্থাপন করা যায় না, তেমনি ঈদগাহের সামনেও ভাস্কর্য স্থাপন করা যায় না।

হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারকে সম্পূর্ণ অগোচরে রেখে এই কাজ যারা করেছেন তারা ঠিক করেননি। ঈদগাহ থেকে ভাস্কর্য যেন দেখা না যায় সে জন্য পদক্ষেপ নিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রতি প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন।

মাদ্রাসার উচ্চ শিক্ষার স্বীকৃতি প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, কওমী মাদ্রাসার লাখ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষা ব্যবস্থা আধুনিকায়নের মাধ্যমে যাতে সেখানকার শিক্ষার্থীরা শিক্ষার মূল ধারার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ আট বছরের প্রক্রিয়া শেষে এ স্বীকৃতির ব্যবস্থা করেছেন।  

আওয়ামী লীগের এ মুখপাত্র বলেন, রাজনীতি হতে হবে রাজনৈতিক কর্মীদের একটি ব্রত। একে ক্ষমতা বা প্রতিষ্ঠা লাভের হাতিয়ার হিসেবে নিলে চলবেনা। শেরে বাংলা এবং বঙ্গবন্ধু আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়ে গেছেন। জাতীয় চার নেতা এবং বঙ্গবন্ধু ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে আপস না করে জীবন দিয়ে গেছেন। তাদের জীবন থেকে আমাদের শিক্ষা নিয়ে দেশ গড়ার কাজে অংশগ্রহণ করতে হবে।

বিএনপির কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তিনি বলেন, এ দেশের রাজনীতিকে দুর্বৃত্তায়ন এবং বণিকায়ন করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তার স্ত্রী, বিএনপি নেত্রী তাকেও ছাড়িয়ে গিয়ে রাজনীতিতে জঙ্গি, মাস্তান এবং বোমারুদের অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছেন। তারা আগামী নির্বাচনে অবশ্যই অংশগ্রহণ করবে। যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তাহলে তাদের অবস্থা মুসলিম লীগ এবং জাসদের মতো হবে।

তিনি আরও বলেন, শেরে বাংলা ছিলেন মেহনতি মানুষের নেতা। তার কোনো সম্পদ, প্রতিপত্তি ছিলনা। মেহনতি মানুষের সেই রাজনীতিকে ড্রইং রুমের রাজনীতিতে, বিত্তশালী এবং বণিকদের রাজনীতিতে পরিণত করেছিলেন জিয়াউর রহমান। সেই রাজনীতিকে আবারও ড্রইংরুম থেকে মেহনতি মানুষের কাছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ফিরিয়ে দিয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল। আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিমসহ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ ও যুক্তফ্রন্টের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।