ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

হাওরের দুর্গতি সরকারের ব্যর্থতার নগ্ন ইতিহাস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
হাওরের দুর্গতি সরকারের ব্যর্থতার নগ্ন ইতিহাস প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখছেন শামসুজ্জামান দুদু- ছবি রানা

ঢাকা: সরকার হাওরবাসীকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সরকারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তোলেন।

“হাওরের মহাবিপর্যয়কে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা এবং হাওরবাসীকে রক্ষায় দ্রুত রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ গ্রহনের দাবীতে” বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর শাখা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

দুদু বলেন, হাওর অঞ্চলের দুর্গতি সরকারের দুর্নীতি ও ব্যর্থতার নগ্ন ইতিহাস। স্মরণকালের ভয়াবহ এ মানবিক বিপর্যয় সরকারের ব্যর্থতাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। তার পরও সরকার অসহায় হাওরবাসীকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।

ঢাকা মহানগর ন্যাপের সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলু’র সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
 
সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন-  বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনপিপি মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, বিএনপি নেতা খালিদ সাইফুল্লাহ সোহেল, কল্যাণ পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান তামান্না, এনডিপি প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ফরিদউদ্দিন, জিনাফ সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, দেশবাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কেএম রাকিবুল ইসলাম রিপন, যুবনেতা আবদুল্লাহ আল কাউছারী, ছাত্রনেতা সোলায়মান সোহেল প্রমুখ।
 
সরকারের ব্যর্থতা প্রমাণ হয়ে যাবে যার কারণ তারা এখনও হাওরকে দুর্গত অঞ্চল ঘোষণা করছে না এমন অভিযোগ করে শামসু্জ্জামান দুদু বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা টেন্ডার নিয়ে ঐ সমস্ত এলাকায় কাজ করেছেন। তাদের দুর্নীতির প্রমাণ হওয়ার ভয়েই সরকার এখনও হাওর অঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করছে না।
 
হাওর অঞ্চলকে অনতিবিলম্বে দুর্গত এলাকা ঘোষণার জোড় দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এখন বিভেদের সময় নয়। কেন আপনারা বিরোধীদলকে ত্রাণ তৎপরতায় সহযোগিতা না করে প্রধানমন্ত্রী যাবেন বলে বাধা দিচ্ছেন? বাধা না দিয়ে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করে বিরোধীদলগুলোর ত্রাণ তৎপরতায় সহযোগিতা করুন।
 
হাওর অঞ্চলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া না যাওয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনার জবাবে দুদু বলেন, সর্ব প্রথম হাওর অঞ্চলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গিয়েছিলেন, তার আগে ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা ছাড়া কেউ যায়নি। ওবায়দুল কাদের আমাদের অগ্রজ বড় ভাই একটু বেশি কথা বলেন, কিন্তু বেশি কথা বললে যে বেশি ভুল হয়, তিনি মাঝে মধ্যে ভুলে যান। আমরা তার কাছে জ্ঞান সমৃদ্ধ দায়িত্বশীল কথা আশা করি।
 
এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, হাওর এলাকার অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। কিন্তু এ ব্যাপারে সরকারের তেমন কোনো তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। সরকারের একজন সচিব বলেছেন, কোনো এলাকার অর্ধেক মানুষ মারা না গেলে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করা যাবে না। তার এই বক্তব্য কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
এজেড/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।