বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে নগরে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক সংলগ্ন ফিসারি রোডের শরীফ ম্যানসন-১ ও শরীফ ম্যানসন-২ নামের ওই বাড়ি দু’টিতে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে শরীফ ম্যানসন-১ ভবনের দ্বিতীয়তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে ছাত্রশিবিরের চাঁদা তোলার রশিদ, বইসহ বেশকিছু মালামাল জব্দ করা হয়।
এয়ারপোর্ট থানার ওসি (তদন্ত) এ আর মুকুল জানান, সকালে নগরের রুপাতলী হাউজিং এলাকা থেকে হরতালের পক্ষে মিছিলের চেষ্টাকালে ৩ যুবককে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
আটককৃতদের একজনের দেওয়া তথ্যে কোতোয়ালি ও এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে শিবির নেতাদের সন্ধানে বাবুল শরীফের মালিকানাধীন ভবন দু’টিতে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় নির্মাণাধীন ৪তলা বিশিষ্ট শরীফ ম্যানসন-১ থেকে কিছু আলামত জব্দ করা হয়।
তিনি জানান, ছাত্র পরিচয়ে শিবির নেতারা এ বাসাটিতে ভাড়া থাকতেন। তবে সবার তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির মালিকের স্ত্রী ও এক কলেজছাত্রকে থানায় নেওয়া হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
সকালে রূপাতলী হাউজিং এলাকা থেকে ইনফ্রা পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের ছাত্র ও বিমানবন্দর থানা শিবিরের স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মমিনুল ইসলাম, ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ও ২৯নং ওয়ার্ড শিবিরের সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ও কর্মী সাকিল বেপারিকে আটক করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান জানান, তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো পিকেটিং, গাড়ি ভাংচুর ও হরতালকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা।
তবে বিকেল পর্যন্ত নগরের কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘন্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
এমএস/এএসআর