বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে ৩৪২ ধারায় দ্বিতীয় দিনের মতো আত্মপক্ষ সমর্থন করেন প্রধান আসামি খালেদা জিয়া। বেলা সোয়া ১২টা থেকে ৫৩ মিনিট বক্তব্য পাঠের পর মুলতবির আবেদন জানান তিনি।
এর আগে গত ১৯ অক্টোবর প্রথমদিনে আরও একঘণ্টা বক্তব্য দেন খালেদা।
বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে আদালতে এসে একইসঙ্গে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও হাজিরা দেন খালেদা। আর বেলা দেড়টায় আদালত ত্যাগ করেন তিনি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ওই দুই দুর্নীতি মামলার বিচার চলছে এ আদালতে।
এর আগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা নুর আহমেদকে আসামিপক্ষের পুনঃজেরা শেষ হয়। আসামি মনিরুল ইসলাম খানের পক্ষে জেরা করেন অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম। দুপুরের পরে রি-কলের অন্য সাক্ষীদের পুনঃজেরা করবেন আসামিপক্ষ।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে আদালতে আছেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল।
অন্যদিকে চ্যারিটেবলে গত বছরের ০১ ডিসেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করতে শুরু করলেও শেষ হয়নি।
অরফানেজ মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামি মোট ছয়জন। অন্য পাঁচ আসামির মধ্যে মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ কারাগারে আছেন। বাকি তিনজন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান পলাতক।
এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩২ জন সাক্ষী। অন্য দুই আসামি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন।
অন্যদিকে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। অন্য তিনজনের মধ্যে খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী পলাতক এবং হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান জামিনে আছেন।
এ মামলায়ও সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন। অন্য দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন।
২০১০ সালের ০৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করে দুদক। ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয়।
অন্যদিকে ২০০৮ সালের ০৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
এমআই/এএসআর