তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু আওয়ামী লীগের নয়, তিনি পুরো বাঙালি জাতির। তার ভাষণকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে পুরো বাঙালি জাতিকে স্বীকৃতি দেওয়া।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে রাজশাহী সড়ক ভবনে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা রক্ত ও মা-বোনের সম্ভ্রম দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি। তাই জাতি হিসেবে এই স্বীকৃতি আমাদের পাওনা ছিল। এই অর্জনে আমরা গর্বিত, অগণিত মানুষ খুশি। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের গ্রামেগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক সেই ভাষণ প্রচার শুরু হয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীতে অনেক নেতাই ভাষণ দিয়েছেন। অনেকে দেখে দেখে বক্তব্য দিয়েছেন। অনেকে নোট নিয়েছেন। কিন্তু একাত্তরের উত্তাল মার্চে বঙ্গবন্ধু কোনো কিছুর সাহায্য ছাড়াই বক্তব্য দিয়েছেন। সেই ভাষণ বাঙালি জাতিকে নতুন দিশা দিয়েছে, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের জন্য ঐক্যবদ্ধ করেছে। সেই ভাষণ আজও বাঙালি জাতিকে প্রেরণা দেয়, উদ্দীপনা জোগায়।
ওবায়দুল কাদের জানান, ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতির কথা তিনি রাজশাহীতে আসার পথে বিমানবন্দরে শুনেছেন। এরপরই তিনি বৃহস্পতিবার (০১ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের সম্পাদক মণ্ডলীর সভা ডেকেছেন। সেখানে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। শহর থেকে গ্রাম-সবখানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচারের মতো কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এর আগে রাজশাহী সড়ক ভবনে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। এ সময় তিনি বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনারর কথা শোনেন এবং পরে দিক নির্দেশনা দেন। ওই সভায় সওজ রাজশাহী বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
এসএস/এসএইচ