সোমবার (২০ নভেম্বর) মামলাটির আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত এ পরোয়ানা জারি করেন। আগামী ১৫ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
তারেক রহমান বাদে অন্য আসামি দু’জন হলেন- বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) তৎকালীন প্রধান প্রতিবেদক মাহাথির ফারুকী ও বিশেষ প্রতিনিধি কণক সরওয়ার। মামলার অপর আসামি চ্যানেলটির তৎকালীন চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম সোমবার আদালতে হাজির ছিলেন।
এর আগে এ মামলায় গত ২৩ অক্টোবর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে একই আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলার অপর আসামি আব্দুস সালাম আদালতে হাজির থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি রাতে লন্ডন থেকে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করে একুশে টেলিভিশন। পরদিন রাতে কারওয়ানবাজারের ইটিভির কার্যালয় থেকে বাসায় ফেরার পথে সালামকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
‘ইটিভিতে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল’- এ অভিযোগে ওই বছরের ০৮ জানুয়ারি দণ্ডবিধির ১২৪(এ) ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি করেন তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বোরহান উদ্দিন।
মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ইটিভির তৎকালীন চেয়ারম্যান আব্দুস সালামকে আসামি করা হয়।
২০১৬ সালের ৩ আগস্ট চারজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ইমদাদুল হক।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, ‘২০১৫ সালের ০৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা ও কালো’ দিবসের নামে পূর্ব লন্ডনের অট্রিয়াম অডিটোরিয়ামে যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন তারেক রহমান। তারেক রহমান তার বক্তব্যে দেশের বিচার বিভাগ, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য করেছেন, যাতে জনমনে হিংসার উদ্বেগ হয়েছে’।
এছাড়া পলাতক আসামি হিসেবে তারেক রহমানের বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করে ইটিভির চেয়ারম্যান আবদুস সালামও রাষ্ট্রদ্রোহের কাজ করেছেন বলে অভিযোগ করা হয় চার্জশিটে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭
এমআই/আরআই