সোমবার (২৭ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনের রায় ঘোষণার বিরতির পর সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার আজ গুরুত্বপূর্ণ কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার তার পর্যবেক্ষণে বলেন, অফিসিয়াল আচরণ যেমন হওয়া উচিত, তেমনই যেন আমাদের সেনা কর্মকর্তাদের আচরণ হয়। সেটা যেন প্রো-অ্যাডমিনেস্ট্রেটিভ এবং একইসঙ্গে প্রো-হিউম্যানিটারিয়ান (প্রশাসন-সহায়ক ও মানবিক) হয়।
আইনজীবী আমিনুল ইসলাম আরও জানান,সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি তিনি (নজরুল ইসলাম তালুকদার) বলেছেন, সেটা হল এই হত্যাকাণ্ড কি কারণে সংঘটিত হল? যেখানে বিডিআরের আরএসইউ নামের একটি ইউনিটি ছিল, আমাদের দেশে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা আছে, ১২ তারিখ তাদের নজরে আসে। ২১ তারিখ লিফলেট বিতরণ হল, ফার্মগেটে পোস্টারিং হল এবং ২৪ তারিখ প্রধানমন্ত্রী সেখানে গেলেন তার পরেও কেন গোয়েন্দা সংস্থগুলো ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে! এই বিষয়েটি তদন্তের মধ্যমে উদঘাটন করতে হবে।
এই বিষয়টি প্রতি গুরুত্বের সাথে দেখার জন্য এই বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বলে অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান।
আদালতের পযবেক্ষণ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, বিডিআরদের দাবি দাওয়ার যে বিষয়গুলো ছিল, সেই বিষয়গুলো উপেক্ষা করে তাদের বিষয়টি সমাধানটা না করার কারণে হয়ত এই ঘটনাটি ঘটেছে। একই সাথে তিনি বলেছেন, সরকার ও সংশ্লিষ্ট ডিজি যেন এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা পালন (ইফেকটিভ রুল প্লে) করেন। আর তা যেন দ্রুত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
এমএসি /জেএম