মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা দক্ষিণ যবুদলের সভাপতি রফিকুল আলম মজনুর মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, শুধু যুবদলের আন্দোলের কারণেই স্বৈরাচারী এরশাদের পতন ঘটেছিলো।
মির্জা আব্বাস বলেন, আজ রোহিঙ্গারা যেমন নেতৃত্বশূন্য, তেমনি আওয়ামী লীগও একদিন নেতৃত্বশূন্য হয়ে যাবে।
‘আগামী নির্বাচনে ভোট দেয়ার অনিশ্চয়তা দেখা দিলে সেই প্রহসনের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না’ জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সাংবাদিকরা এখন থেকেই প্রশ্ন করা শুরু করে দিয়েছেন বিএনপি আসলে নির্বাচনে যাবে কিনা? আমি বলবো, এ প্রশ্ন অহেতুক। কারণ বিএনপি নির্বাচনে যেতেই প্রস্তুত। তবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, শেখ হাসিনার অধীনে নয়।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করা আর ট্রাকের নীচে মাথা দেয়া একই কথা। আমাদের নেত্রীকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করবেন, ভালো কথা। তবে সৎসাহস থাকলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে নিজদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। দেখুন, জনগণ আসলে কাদের ক্ষমতায় দেখতে চায়।
বিডিয়ার হত্যাকাণ্ড নিয়ে গতকাল যে রায় দেয়া হয়েছে, সে ‘রায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মহানগর দক্ষিণ যবুদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরীফ হোসেনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যাহ বুলু, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও মহানগর দক্ষিণ যবুদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহীন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
এএম/জেএম