সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ইউনিয়নের মহেষপুর বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ সৈয়দ সুলতান আহমেদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সদস্য বলে জানা গেছে।
আহত ব্যক্তিরা জানান, পূর্ব বিরোধের জেরে নেয়ামতি ইউনিয়নের ছালাম সিকদার সুলতান আহমেদের পেটে গুলি করেন। ছালাম সিকদার এলাকায় বিএনপি সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
এ সময় নেয়ামতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা ও সাংগঠনিক সম্পাদক বজলু মিয়াকেও পিটিয়ে জখম করা হয়।
আহত আওয়ামী লীগ নেতা বিমল সাহা জানান, বেশ কয়েকদিন আগে একটি বিষয় নিয়ে তাদের সাথে ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ছালাম সিকদারের দ্বন্দ্ব হয়। বিষয়টি তখন মীমাংসা হয়।
কিন্তু ছালাম তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে আজ দলবল নিয়ে মহেশপুর বাজারে এসে হামলা চালায়। এ সময় সুলতানের পেটে গুলি করা হয় এবং আমাকে ও বজলুকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আজিজুর রহমান জানান, পেটে গুলিবিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ সুলতান আহমেদকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, কয়েকদিন পূর্বে মহেষপুর বাজারে আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ সুলতান ও বিএনপি নেতা ছালাম সিকদারের মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি হয়। ধারণা করা হচ্ছে ঐ ঘটনার জেরেই ছালাম সিকদার এ হামলা করেছে।
অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
তবে বিএনপি’র কোন কমিটিতেই ছালাম সিকদারের কোন পদ নেই বলে জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন হাওলাদার।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
এমএস/আরআই