বহিষ্কৃত প্রার্থীরা হলেন- আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মকিবুল হাসান পুটু মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহাদুল ইসলাম আহাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল ওয়াহাব পানুœ ও বুড়াইচ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মকিবুল হাসান পুটু মিয়া আলফাডাঙ্গা পৌরসভা থেকে মেয়র পদে প্রার্থী হতে দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহাদুল ইসলাম আহাদ। আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়ন থেকে নৌকার প্রার্থী হতে না পেরে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এখানে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম খান গোপালপুর ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তিনিও পাননি। দল মনোনয়ন দিয়েছে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইনামুল হাসানকে। দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে সাইফুল আনারস প্রতীক নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল ওয়াহাব পান্নু বুড়াইচ ইউনিয়ন থেকে নৌকার বিপরীতে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। এখানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেনও দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। না পেয়ে এখন তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নৌকার প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। এই ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আহসান উদ্দৌলা রানা।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা বাংলানিউজকে জানান, আলফাডাঙ্গা উপজেলায় অনেকেই মনোনয়ন চাইতে পারে। কিন্তু তৃণমূল নেতাকর্মীদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন্দ্র থেকে যারা মনোনয়ন পেয়েছেন তারাই দলের প্রার্থী। বিদ্রোহীদের বার বার সতর্ক করার পরেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙে আওয়ামী লীগের কোনো নেতার বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নাই। তাই দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
আরআর