দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের কেন্দ্র ঘোষিত তৃতীয় পর্যায়ের কর্মসূচি হিসেবে দলের মহানগর শাখা এ জনসভা আহ্বান করে। দলের মহানগর শাখার পক্ষ থেকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও খুলনা সিটি করপোরেশনের কাছে জনসভার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৬ মার্চ) মহানগর বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এহতেশামুল হক শাওন বাংলানিউজকে বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন। এছাড়া জনসভায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ কেন্দ্রীয় নেতা ছাড়াও এলডিপি’র চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদসহ ২০ দলীয় জোটের নেতারা বক্তব্য দেবেন।
তিনি জানান, বিএনপি নেতারা এ জনসভায় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ব্যাপক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে দফায় দফায় বৈঠকসহ নানা কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও খুলনা মহানগর আহ্বায়ক আজিজুল হাসান দুলু বাংলানিউজকে বলেন, ১০ মার্চের জনসভা সফল করতে মহানগরীর প্রত্যেকটি থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে এ জনসভা করতে প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, জনসভাকে সফলের লক্ষে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দলীয় কার্যালয়ে মহানগর শাখার প্রস্তুতি সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওয়ার্ড পর্যায়ে কর্মীসভা হচ্ছে। জনসভায় এ অঞ্চলের জেলাগুলোর শীর্ষ নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মহানগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে সভা ও প্রচারাভিযান শুরু হয়েছে। এছাড়া মাইকিং, পোস্টার, লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। মহানগর শাখার পক্ষ থেকে বড় জমায়েতের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, খুলনার শহিদ হাদিস পার্কে আগামী ১০ মার্চ জনসভার অনুমতি চেয়ে দলের মহানগর শাখা কেএমপি কমিশনার বরাবর তিনবার আবেদন করেও এখনো কোন অনুমতি পায়নি।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) এডিসি (মিডিয়া) সোনালী সেন মঙ্গলবার ১০টা ৩৭ মিনিটে বাংলানিউজকে জানান, শহীদ হাদিস পার্কে বিএনপির জনসভার এখনো অনুমতি মেলেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৮
এমআরএম/ওএইচ/