বুধবার (৭ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে তারেক রহমানের ১২তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত যুব সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি প্রধানমন্ত্রী আজকের সমাবেশে বক্তৃতায় জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা, মানবাধিকার, আইনের শাসন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে মনোযোগী হবেন।
আমির খসরু বলেন, আজ যেখানে জনসভার আয়োজন করা হয়েছে সেখানে সরকারি কর্মকর্তারা আসছেন, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা আসছে, সরকারের নানা পর্যায়ের লোকজন আসছেন। তা নিয়ে আমাদের কোনো অসুবিধা নেই। আমরা চাই স্বাধীন দেশে মানুষের স্বাধীনতা থাকবে, কথা বলার অধিকার থাকবে। আমাদেরও জনসভা করার অনুমতি দেওয়া হবে। কারণ এটা রাজনৈতিক দলগুলোর সাংবিধানিক অধিকার।
খুলনা ও চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রী জনসভা করলেও বিএনপিকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে খসরু বলেন, ২১ মার্চ চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে প্রধানমন্ত্রী জনসভা করবেন। আমরা সেখানে ২৭ তারিখে অনুমতি চেয়েছি। এখনো পর্যন্ত অনুমতি পাইনি। খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী জনসভা করে এসেছেন, সেখানে আমরা অনুমতি চাইলেও তারা তা দেয়নি।
‘১০ তারিখে খুলনায় জনসভা। সেখানে অনুমতি না পেয়ে হাদিস পার্কে অনুমতি চাইলেও কোনো সাড়া মেলেনি। এমনকি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১২ মার্চ জনসভার অনুমতি চেয়েছি, এখনো কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। অথচ আজ তাদের জনসভার জন্য গত দশ দিন ধরে শহরে মাইকিং করা হয়েছে। ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। আমরা তো এগুলোর কিছুই চাচ্ছি না। আমরা চাচ্ছি শুধু জনসভার অনুমতি। এখন পর্যন্ত সেটাও মেলেনি। ’
স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবদিন ফারুক, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, আব্দুস সালাম, এলডিপির শাহাদাৎ হোসেন সেলিম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৮
এএম/এএ