দলটির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ তিনজন প্রার্থী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে ঢাকা-১২ আসনে জোনায়েদ সাকি, পাবনা-১ আসনে জুলহাসনাইন বাবু ও চট্টগ্রাম-১০ আসনে হাসান মারুফ রুমী কোদাল প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন।
রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন জোনায়েদ সাকি।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের মতোই এই জনসম্মতিহীন নির্বাচনে গঠিত সরকারও দুর্নীতি, লুণ্ঠন ও নিপীড়নের পথেই দেশশাসন অব্যাহত রাখবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, বর্তমান নির্বাচন কমিশন কতটা সরকারি দাস্যবৃত্তি করেছে, সেটা সাংবাদিকরা আজ দিনব্যাপী দেখেছেন। যদিও শুধু আজই নয়, তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই সরকার দলীয় প্রার্থীদের অনৈতিক ও অবৈধ সুযোগ সুবিধা দেয়া, বিরোধীদের ধরপাকড়, হুমকি, মিথ্যা মামলা এই সব ছিল গোটা দেশের চিত্র। সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের মতো কোনো বিন্দুমাত্র বিশ্বাসযোগ্যতা বর্তমান সরকারের যে নেই, সেটা আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি।
সারাদিনের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে বলা হয়, সকল কেন্দ্রে সকাল থেকেই পোলিং এজেন্টদের নানাবিধ হয়রানি করা হয়েছে। এজেন্টদের কার্ড না দেওয়া, কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, কেন্দ্র থেকে জোর করে বের করে দেওয়া, এজেন্টদের মারধরের মুখেও পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা; এই সব ছিল সাধারণ ঘটনা। প্রতিবাদ করায় মারধর করে এজেন্টকে ধরে নিয়ে স্থানীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আটকে রাখাও হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা এই পাতানো নির্বাচন সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা দাবি করছি, এই নির্বাচন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। ২০১৪ সালের মতই এই জনসম্মতিহীন নির্বাচনে গঠিত সরকারও দুর্নীতি, লুণ্ঠন ও নিপীড়নের পথেই দেশ শাসন অব্যাহত রাখবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
এমজেএফ