সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ইসমাইল গোদাগাড়ী উপজেলার পালপুর-ধরমপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আখতার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, রোববার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে ভোটগ্রহণ চলাকালে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের গোদাগাড়ীর পালপুর-ধমরপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীরা ইসমাইলকে পিটিয়ে আহত করেন। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী রামেকে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার (সদর) ইফতে খায়ের আলম বাংলানিউজকে জানান, নিহত ইসমাইলের মরদেহ সোমবার দুপুরে নিকটাত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় দামকুড়া থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে রোববার ভোটগ্রহণ চলাকালে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের মোহনপুরের পাকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মেরাজুল ইসলাম এবং রাজশাহী-২ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের মোহাম্মদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোদাচ্ছের আলী নামে দুই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী প্রতিপক্ষের হামলায় ভোটকেন্দ্রেই নিহত হন। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় আলাদা হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৮
এসএস/আরবি/